হাওজা নিউজ এজেন্সি: প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সরকারিভাবে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, যার পেছনে কারণ ছিল IAEA-এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যক্রম।
ইরানের পার্লামেন্ট ২৫ জুন একটি বিল পাস করে, যাতে বলা হয়—IAEA-এর সঙ্গে সহযোগিতা তখনই চালু হবে যখন ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাবে এবং তা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদিত হবে। পার্লামেন্ট স্পিকার কালিবাফ বলেন, সংস্থাটি পেশাদার আচরণ না করলে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা সম্ভব নয়।
ইরান এখন IAEA মহাসচিব রাফায়েল গ্রোসির প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কথাও ভাবছে। পার্লামেন্ট সদস্য কাউসারি জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে প্রস্তাব দিয়েছেন। গ্রোসির পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট ও তার ভিত্তিতে পাশ হওয়া প্রস্তাবকেই ইসরায়েলি হামলার পথ খুলে দেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ জুন ইসরায়েলের আক্রমণে ইরানের একাধিক পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। নাতাঞ্জ, ফরদো ও ইসফাহানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার পরও গ্রোসি ও IAEA জোরালো নিন্দা জানায়নি, যা ইরানের তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘটনা ইরান-IAEA সম্পর্ককে দীর্ঘমেয়াদে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে।
আপনার কমেন্ট