হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আশুরার রাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও বিশ্বজনমত আবারও ইরানের দিকে ফিরে তাকায়, যখন হঠাৎ করে ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা তেহরানের হোসেইনিয়া ইমাম খোমেনিতে অনুষ্ঠিত আশুরার রাতের শোকসভায় উপস্থিত হন।
এই উপস্থিতি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, কারণ সাধারণত হোসেইনিয়া ইমাম খোমেনিতে আয়োজিত এসব শোকানুষ্ঠান সরাসরি সর্বোচ্চ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় হয়ে থাকে, কিন্তু সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিলেন না। ফলে শত্রুপক্ষ, বিশেষ করে পশ্চিমা ও ইহুদি প্রচারযন্ত্র, তার অনুপস্থিতি নিয়ে নানা ধরণের গুজব ও প্রপাগান্ডা ছড়াতে শুরু করেছিল।
তবে গত রাতের এই উপস্থিতি সেই সমস্ত অপপ্রচারকে মুছে দিয়েছে এবং গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে যে ইরান সম্পর্কে আমেরিকান ও ইহুদি অনুমান আবারও ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
শোকসভায় সর্বোচ্চ নেতার আগমনের খবর যেমন পুরো ইরানে উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে, তেমনি বিশ্ববাসীকেও চমকে দিয়েছে, যারা ইহুদি ও আমেরিকান হুমকির পর ইরানের ওপর গভীর নজর রাখছিল।
এই শোকসভার আরও একটি বিশেষ দিক ছিল, সর্বোচ্চ নেতার অনুরোধে বিখ্যাত মাদেহখান মাহমুদ কারিমি তার লেখা “ইরান, ইরান” শিরোনামের নওহা পাঠ করেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিকভাবে এক অসাধারণ সাহস, দৃঢ়তা ও প্রজ্ঞাময় নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আপনার কমেন্ট