হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহাম্মদ বাকের ক্বালিবাফ জানান, ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার ১৭ ঘণ্টার মধ্যেই ইরান ১৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা মোকাবিলা করতে গিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়।
তিনি আরও বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী যুদ্ধ শুরুর কিছুক্ষণ পরই নিজে সরাসরি সামরিক সদরদফতরে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের দিকনির্দেশনা দেন। ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় যেভাবে তিনি সামরিক সিদ্ধান্ত নিতেন, এবারও তিনি একইভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ক্বালিবাফ বলেন, এই যুদ্ধ ছিল আমাদের জন্য একটি বাস্তবিক অভিজ্ঞতা, যেখানে আমরা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সক্ষমতা যাচাই করেছি। যুদ্ধে প্রতিনিয়ত আমাদের পরিকল্পনাগুলো হালনাগাদ করা হয়েছে।
তিনি জানান, সায়োনিস্ট সূত্রের দাবি অনুযায়ী, এই যুদ্ধে তাদের ৩,৫২০ জন সেনা আহত হয়েছে, যা থেকে অনুমান করা যায় যে নিহতের সংখ্যা ৫০০-এরও বেশি হতে পারে।
মোহাম্মদ বাকের ক্বালিবাফ আরও বলেন, আমাদের নতুন সেনা কমান্ডাররা শহীদ কমান্ডারদের পথ অনুসরণ করে অত্যন্ত দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের সফল প্রতিরোধমূলক অভিযানের কারণে দখলদার সায়োনিস্ট সরকার ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন’ বলে চিৎকার করে উঠেছে।
আপনার কমেন্ট