হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ও কৌশলগত সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কাতারের আলউদেইদ বেসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরুতে এই ঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির কথা অস্বীকার করেছিলেন, তবে পরবর্তীতে প্রকাশিত কিছু ছবি ইঙ্গিত দেয় যে অন্তত একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সঠিকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
এছাড়াও মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন স্বীকার করেছে যে ২৩ জুনের হামলায় একটি ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইল কাতারে অবস্থিত আলউদেইদ এয়ার বেসে আঘাত হানতে সফল হয়েছে।
এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন যে এমআইএম-১০৪ প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং কাতারের বিমানবাহিনী ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে প্রতিহত করেছে এবং ঘাঁটিকে রক্ষা করেছে। প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের ‘সফল প্রতিরক্ষা’-র ব্যাপারে ব্যাপক প্রশংসাও করা হয়েছিল।
কিন্তু পরে পেন্টাগনের মুখপাত্র শেন পারনেল স্বীকার করেন, ২৩ জুনের ওই হামলায় ইরানের একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল আলউদেইদ এয়ার বেসে আঘাত হেনেছে এবং বাকি ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে সামরিক বিশ্লেষণধর্মী ম্যাগাজিন Military Watch একটি রাডার টাওয়ার ধ্বংসের ছবি প্রকাশ করেছে, যার ভেতরে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক Enterprise Terminal কমিউনিকেশন সিস্টেম ছিল। এ সিস্টেমের মূল্য প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান যে ফাতেহ-৩১৩ ধরনের ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করেছে, সেগুলো ইরানের সর্বাধুনিক অস্ত্র না হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত প্যাট্রিয়ট সিস্টেম এমনকি এই অপেক্ষাকৃত সাধারণ মিসাইলেরও প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে।
এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও সুনাম গভীরভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
আপনার কমেন্ট