হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন একটি অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ নিয়ে বড়সড় ইউটার্ন নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন ন্যাটো মিত্রদের কাছে ব্যাপকভাবে অস্ত্র বিক্রি শুরু করছে, যার উদ্দেশ্য হলো সেই অস্ত্রগুলো ইউক্রেনে পাঠানো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সাথে বৈঠকে ইউরোপে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন, যা যুদ্ধ সম্পর্কে তাঁর আগের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ১৭টি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এদের মধ্যে বেশিরভাগই শীঘ্রই ইউক্রেনে স্থাপন করা হবে। তিনি আরও অস্ত্র পাঠানোর সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছেন।
"অ্যাক্সিওস" সাইট একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে যে, প্রথম ধাপে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র তার ন্যাটো মিত্রদের কাছে বিক্রি করবে, যা পরবর্তীতে ইউক্রেনে স্থানান্তর করা হবে। এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং কামানের গোলা।
এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত নীতিতে একটি মৌলিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, কারণ শুরুতে তিনি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানোর পক্ষে ছিলেন, যাতে সংঘাতের তীব্রতা না বাড়ে।
ট্রাম্প মস্কোকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করে বলেছেন, একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য রাশিয়ার হাতে মাত্র ৫০ দিন সময় রয়েছে, নইলে তাকে ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে, যাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক এড়ানো যায়।
অন্যদিকে, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন যে, ইউক্রেন শান্তি চায়। তিনি আরও বলেন, ন্যাটো জোট ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রের খরচ বহন করবে এবং খতিয়ে দেখবে যে ইউক্রেনের কী ধরনের অস্ত্র প্রয়োজন।
আপনার কমেন্ট