হাওজা নিউজ এজেন্সি: সোমবার অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকান্দার মো’মেনি জানান, তিন দেশের মধ্যে এই গঠনমূলক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের ফলে আরবাঈন জিয়ারতকারীদের যাত্রা সহজ হবে এবং পরিবহন, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “ইরানে ইরাকি ও পাকিস্তানি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে তিনটি দেশই আরবাঈন উপলক্ষে আয়োজিত এ মহান ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে এবং তা সম্মানের সঙ্গে পালনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।”
আরবাঈন হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ, যা আশুরার ৪০ দিন পর অনুষ্ঠিত হয়। আশুরা দিবসে ইমাম হুসেইন (আ.)-এর শাহাদতের স্মরণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিয়া মুসলমান ইরাকের কারবালায় ইমাম হুসেইন (আ.)-এর পবিত্র মাজারে সমবেত হয়ে শোক পালন করে থাকেন।
জিয়ারতকারীদের সুবিধার্থে ইরান ও ইরাক ইতোমধ্যে ভিসা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া, সেবার মান বাড়ানো এবং যাত্রাপথে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে একাধিক চুক্তি করেছে। এবারের আরবাঈন কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ১৪ আগস্ট কারবালায় আয়োজিত বিশাল সমাবেশ।
আপনার কমেন্ট