হাওজা নিউজ এজেন্সি: কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশনকে মঙ্গলবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটেছে—এমন দাবি নিছকই কল্পনাপ্রসূত।”
“আমাদের পারমাণবিক সক্ষমতা যন্ত্রপাতি বা ভবনে সীমাবদ্ধ নয়; এটি আমাদের বিজ্ঞানীদের চিন্তা ও দক্ষতায় নিহিত।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সেই প্রচারণারও কড়া সমালোচনা করেন, যেখানে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অজুহাতে বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে।
পেজেশকিয়ান সাফ জানিয়ে দেন, “আমরা পরমাণু অস্ত্র অর্জনের চিন্তা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করি। এটি আমাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, মানবিক এবং কৌশলগত অবস্থান।”
তিনি বলেন, ইরান সবসময়ই আলোচনার জন্য প্রস্তুত, তবে শর্ত হচ্ছে—আলোচনার ভিত্তি হতে হবে পারস্পরিক লাভ (‘উইন-উইন’) এবং এতে ইরানের শান্তিপূর্ণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার স্বীকৃত হতে হবে।
সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরায়েল যদি আবারও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার চেষ্টা চালায়, তবে ইসলামি প্রজাতন্ত্রও সমতুল্য ও দৃঢ় জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুত। ইসরায়েল আবার আগ্রাসন চালালে আমরা দখলদার ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত হানতে প্রস্তুত।”
তিনি উল্লেখ করেন, গত মাসে ইসরায়েল একতরফা যুদ্ধ শুরু করলে ইরান শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন মোতায়েন করে পাল্টা জবাব দেয়। ফলস্বরূপ, মাত্র ১২ দিনের মাথায় ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়।
“এই ১২ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির অনুরোধই প্রমাণ করে, আমাদের জবাব কতটা কার্যকর ছিল,”— পেজেশকিয়ান যোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল তাদের ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র গোপন রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আপনার কমেন্ট