হাওজা নিউজ এজেন্সি: শেখ আবদুল মাহদী কারবলা বলেন, “আমরা কেবল ধর্মীয় স্লোগানে বিশ্বাসী নই; বরং সমাজ সংস্কার, মানবিক উৎকর্ষ এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি স্থিতিশীল ও সম্মিলিত সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই আমাদের অবস্থান।”
কারবলায়ি আরও বলেন, “মারজিয়াত ইরাকের প্রতিটি সংকট ও রাজনৈতিক রূপান্তরে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে এবং বিভাজন নয়, বরং সম্প্রীতির পথ অনুসরণ করেছে।”
তিনি আয়াতুল্লাহ সিস্তানির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দেন, “বলবেন না, সুন্নিরা আমাদের ভাই; বলুন, তারা আমাদেরই অংশ।” এই দৃষ্টিভঙ্গি একটি নিছক শ্লোগান নয়, বরং বাস্তবধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিফলিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কারবলায়ি বলেন, “আমরা কখনোই এমন কোনো বক্তব্য বা উদ্যোগকে অনুমোদন দিই না, যা মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে বা জাতীয় সংহতিকে আঘাত করে। বরং সবসময় জাতিকে প্রকৃত শত্রুর মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিকেই আহ্বান জানাই।”
গাজায় চলমান দখলদারিত্ব ও গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে, তা নিছক একটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নয়; এটি মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ। নিরপরাধ নারী-শিশুর রক্তপাত, গৃহচ্যুতি, ক্ষুধা এবং অবরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া প্রতিটি বিবেকবান মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “মারজিয়াতের সাম্প্রতিক বিবৃতি নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর এক মানবিক ও ধর্মীয় দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ। এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীকে অবশ্যই স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।”
আপনার কমেন্ট