হাওযা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওযায়ে ইলমিয়ার আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন “উমানায়ে রসূল; সাইয়্যেদুশ শুহাদা-এ মুকাওয়ামাত, শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ (রহ.)-এর জ্ঞান ও জিহাদি অবদান”-এর পোস্টার উন্মোচনের অনুষ্ঠান ইরানের কোম নগরীতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাওযা ইলমিয়া ইরানের প্রধান আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফি ইসলামি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ নাসরুল্লাহকে একটি পূর্ণাঙ্গ, বিপ্লবী ও নেতৃত্বদাতা চিন্তাধারার প্রতীক বলে অভিহিত করেন।
আয়াতুল্লাহ আ’রাফি বলেন, শহীদ সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ (রহ.) শুধু একজন সামরিক কমান্ডার ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন একটি গতিশীল আন্দোলনের নির্মাতা, যিনি নাজাফ ও কোম-এর হাওযা ইলমিয়া থেকে জ্ঞান অর্জন করেন, শহীদ সাদর ও ইমাম খোমেইনির (রহ.) চিন্তা-চেতনার দ্বারা প্রভাবিত হন এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ আন্দোলনের এক অনন্য বিপ্লবী ছাপ রেখে যান।
তিনি বলেন, আমানাতে রসূল” সম্মেলনের লক্ষ্য হলো এমন জ্ঞানী, সংগ্রামী ও চিন্তাশীল ব্যক্তিত্বদের তুলে ধরা, যাঁরা ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মূল্যবান অবদান রেখেছেন। এই সম্মেলন বিশেষভাবে কোম ও নাজাফের মতো ঐতিহাসিক জ্ঞানকেন্দ্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমন্বয় জোরদারের দিকে লক্ষ্য রাখছে।
তিনি আরও জানান, এই সম্মেলনের ভবিষ্যৎ ধাপগুলোতে আয়াতুল্লাহ উজমা সাফি গোলপায়েগানি (রহ.) ও আয়াতুল্লাহ শেহরিস্তানি (রহ.)-এর জ্ঞানতাত্ত্বিক ও ফিকহি অবদানের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হবে।
আয়াতুল্লাহ আ’রাফি ফিলিস্তিন, বিশেষ করে গাজা উপত্যকার নিপীড়িত জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন এবং প্রার্থনা করেন যে, আল্লাহ যেন মুসলিম উম্মাহকে জায়নিস্ট জুলুম ও অত্যাচার থেকে মুক্তি দিন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নতুন প্রজন্মকে তাদের জ্ঞান ও চিন্তার উত্তরাধিকারীর সঙ্গে যুক্ত করতে এমন সম্মেলনগুলো এক একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
আপনার কমেন্ট