হাওজা নিউজ এজেন্সি: বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়— “আমরা সর্বোচ্চ নেতার এই ঐশী বার্তাকে শুধু দিকনির্দেশনা নয়, বরং যুগের কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় দায়িত্ব ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আহ্বান হিসেবে গণ্য করছি। আলেমদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যেমন সম্মানের, তেমনি তা বিজয়ের চাবিকাঠিও বটে।"
বিবৃতির শুরুতে কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করা হয়:
“وَکَانَ حَقًّا عَلَیْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِینَ
ঈমানদারদের সাহায্য করা আমাদের জন্য একটি দায়িত্ব [সূরা রূম, আয়াত ৪৭]
যুদ্ধ-সদৃশ পরিস্থিতিতে আলেমদের ভূমিকা
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান যুগে যখন শত্রু পক্ষ বহুমাত্রিক মিডিয়া ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলামি সমাজকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে, তখন আলেমদের দায়িত্ব হলো সমাজে ‘ধৈর্য, শান্তি ও সচেতনতা’ প্রতিষ্ঠা করা। হাওজায়ে ইলমিয়ার ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র এটিকে ‘তৌসিয়ে সবর’ তথা ধৈর্যের প্রতি পারস্পরিক উৎসাহ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা হজরত আলী (আ.)-এর বাণী অনুযায়ী বিজয়ের নিশ্চয়তা।
কারবালার আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য
বিবৃতিতে আলেম ও তালাবাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয় যেন তাঁরা ইমাম হুসাইন (আ.)-এর ধৈর্য ও আত্মোৎসর্গের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন।
“আমরা হাওজা ও ধর্মীয় ছাত্ররা নিজেদের সর্বোচ্চ নেতার একনিষ্ঠ সৈনিক মনে করি এবং তাঁর প্রত্যাশিত পথেই চলার অঙ্গীকার করছি।”
জীবনের বিনিময়ে দায়িত্ব পালনের ঘোষণা
বিবৃতির সবচেয়ে দৃঢ় বার্তাটি ছিল এই ঘোষণায়: “যদি আমাদের প্রিয় ও প্রজ্ঞাবান নেতা নির্দেশ প্রদান করেন, আমরা নিজেদের জীবন ও রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত।”
বিবৃতির সমাপ্তিতে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত উদ্ধৃত করে আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা ও বিজয়ের আশা প্রকাশ করা হয়:
“وَمَا النَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ اللَّهِ الْعَزِیزِ الْحَکِیمِ”
বিজয় তো কেবল মহান, পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান আল্লাহর পক্ষ থেকেই।
আপনার কমেন্ট