হাওজা নিউজ এজেন্সি: তাজিকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনিক আলাপে ইরানী সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আবদুল রহিম মুসাভি মধ্য এশীয় দেশটিকে ধন্যবাদ জানান ১২ দিনব্যাপী ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা আরোপিত যুদ্ধের সময় পাশে থাকার জন্য।
শীর্ষ ইরানি কমান্ডার বলেন, ইসরায়েলি শাসিত অঞ্চল ও যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগ্রাসীরা ইরানের বিরুদ্ধে চালানো যুদ্ধে তাদের কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, বরং তারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যার কারণে তারা যুদ্ধবিরতি চেয়েছে ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য।
মুসাভি বলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কোনো প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করে না। ইরানী সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো নতুন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর এবং চূড়ান্ত প্রতিরোধের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
ইসরায়েলি শাসিত অঞ্চল ১৩ জুন থেকে ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থানে ১২ দিন ধরে আক্রমণ চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নতানজ, ফরদো এবং ইসফাহান পারমাণবিক স্থানে সামরিক হামলা চালায়।
এই আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইরানী বাহিনী শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালায়। ইসলামী বিপ্লবী প্রহরী বাহিনীর মহাকাশ বাহিনী (IRGC Aerospace Force) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’ নামক অভিযানে ২২ ধাপের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে দখলকৃত অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানী বাহিনী কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে, যা পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে এ লড়াই সাময়িকভাবে বন্ধ হয়।
আপনার কমেন্ট