হাওজা নিউজ এজেন্সি: সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র এস্মাঈল বাঘাঈ কানি বলেন, “ইউরোপীয় দেশগুলোকে অবশ্যই দখলকৃত ফিলিস্তিনে ঘটে চলা ভয়াবহ বিপর্যয়ের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। ফিলিস্তিনি ইস্যুতে তাদের দ্বৈত মানদণ্ড ও একচোখা আচরণই গাজায় চলমান গণহত্যার পথ প্রশস্ত করেছে। নিপীড়িতদেরকে আক্রমণকারীর আসনে বসিয়ে দোষারোপ করা বাস্তবে দখলদারদের আরও সাহসী করে তুলছে। গাজায় যারা ক্ষুধা, রোগ এবং বোমা হামলায় মারা যাচ্ছেন, তারা হামাসের কেউ নন—তারা সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিক। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার নিরপরাধ মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।”
তিনি বলেন, গাজা এখন কার্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ এমন বাস্তবতায়ও ইউরোপীয় দেশগুলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে লোক দেখানো আহ্বান জানাচ্ছে।
“আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গাজার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পূর্ণ পুনর্গঠন করতে কমপক্ষে ৪০ বছর লাগবে। একদিকে আপনারা বলছেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির কথা, অন্যদিকে সেই রাষ্ট্র গঠনের সকল ভিত্তিই আপনি ধ্বংস করে দিচ্ছেন। রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে ভূমি প্রয়োজন, সেটুকুও এখন জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য মানুষ প্রয়োজন—কিন্তু ফিলিস্তিনিদের আজ গণহত্যার মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সরকার ও সার্বভৌমত্ব প্রয়োজন—কিন্তু সেটিও অবহেলা করা হচ্ছে। অতএব, ইউরোপ যদি একতরফাভাবে শুধুই একটি দখলদার ও বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন দিয়ে যায় এবং ন্যায়ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ না করে, তাহলে এই সংকটের কোনও সমাধান আসবে না।”
আপনার কমেন্ট