হাওজা নিউজ এজেন্সি: সোমবার ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে আব্বাস আরাকচি লেখেন, “৭০০০ বছরের গৌরবময় সভ্যতার অধিকারী ইরান কখনও ভয়ভীতি ও হুমকির ভাষায় সাড়া দেয় না। ইরানিরা ইতিহাসে কখনও কোনো বিদেশি শক্তির সামনে মাথানত করেনি। আমরা কেবল সম্মানের জবাব দিই সম্মান দিয়ে।”
তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক আমেরিকা-ইসরায়েলি আগ্রাসনে ঠিক কী ঘটেছে, তা আমরা খুব ভালো করেই জানি—আমাদের ওপর এবং আমাদের প্রতিপক্ষদের ওপর কী আঘাত লেগেছে, যার অনেক কিছু এখনো গোপন রাখা হয়েছে। যদি আবারও এমন আগ্রাসন ঘটে, ইরান এমনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে যা গোপন রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।”
তিনি জানান, “তেহরান রিসার্চ রিঅ্যাক্টরে উৎপাদিত চিকিৎসা-ব্যবহারযোগ্য রেডিওআইসোটোপের ওপর এক মিলিয়নের বেশি ইরানির জীবন নির্ভরশীল। এই রিঅ্যাক্টরটি আমেরিকার সরবরাহকৃত এবং এটি ২০% সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম দিয়ে চালিত। আমাদের নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্যও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অত্যাবশ্যক।”
আরাকচি বলেন, “যে প্রযুক্তি বহু বছর ধরে প্রচণ্ড বিনিয়োগ ও গবেষণার মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে এবং যা মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে, তা কেবলমাত্র কিছু দাম্ভিক বিদেশির চাপের মুখে ত্যাগ করার মতো বোকামি কেউ করবে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সাম্প্রতিক অবৈধ বোমা হামলা আবারও প্রমাণ করেছে যে সমস্যাটির কোনো সামরিক সমাধান নেই। কেউ যদি মনে করে আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ না হয়ে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে, তবে তাদের এই সামরিক আক্রমণই প্রমাণ করেছে যে সামরিক উপায়ে কিছুই অর্জনযোগ্য নয়। সমাধান সম্ভব কেবল আলোচনার মাধ্যমে।”
পোস্টের শেষভাগে তিনি বলেন, “আমরা ইরানিরা আমাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি কারও কাছ থেকে কিনে আনি নাই—আমরা একে গড়ে তুলেছি রক্ত, ঘাম ও অশ্রু দিয়ে। আমাদের কৌশলগত মানবসম্পদ যে প্রযুক্তি ও জ্ঞান অর্জন করেছে, তা বোমা ফেলে ধ্বংস করা যায় না। হ্যাঁ, আমাদের সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু আমাদের দৃঢ় সংকল্প বিন্দুমাত্র টলে যায়নি।”
আপনার কমেন্ট