বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট ২০২৫ - ১৫:১০
আরবাঈন: বৈশ্বিক চিন্তার ওপর আধিপত্যের অবসান

আরবাঈন কেবল ধর্মীয় আচার নয়, এটি বিশ্বব্যাপী অবিচার, দমন-পীড়ন ও একমুখী চিন্তার বিরুদ্ধে মানবতার প্রতিরোধের প্রতীক।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মজিদুল ইসলাম শাহ বলেন, আজকের আরবাঈন একটি ঘোষণাপত্র—যেখানে বলা হচ্ছে, বৈশ্বিক চিন্তার ওপর আধিপত্য আর চলবে না। মানুষ আজ ন্যায়, মর্যাদা ও চেতনার জন্য একত্রিত হয়েছে।

আজ আরবাঈন শুধু ইতিহাসের এক ঘটনা নয়; এটি মানবতার জাগরণ, একটি নৈতিক বিপ্লব। লক্ষ লক্ষ মানুষের পায়ে হাঁটা এই যাত্রা আমাদের জানান দেয়, আজকের দুনিয়ায় আর একমুখী ভাবনা, সাংস্কৃতিক উপনিবেশ কিংবা ক্ষমতার দম্ভ দিয়ে মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, “আরবাঈন আমাদের শেখায়, অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে কেউ একা নয়। এই পদযাত্রা সাম্রাজ্যবাদী চিন্তার বিরুদ্ধে এক নিরব অথচ প্রভাবশালী প্রতিবাদ। এটি প্রমাণ করে, আজ বিশ্ব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।”

এই বার্তাই বলে দেয়—নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান, সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো এবং চিন্তার স্বাধীনতাই হলো ভবিষ্যতের পথ।

আরবাঈন শুধুই শোক ও স্মরণ নয়, এটি সত্য ও ন্যায়ের এক বিপুল জনসমাগমের প্রকাশ। কোটি মানুষের এই পদযাত্রা বিশ্ববাসীর কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেয়—চিন্তার স্বাধীনতা, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য এবং মানবিক মূল্যবোধকে দাবিয়ে রাখার যুগ শেষ।

মজিদ আরো বলেন, আরবাঈনের মাধ্যমে বোঝা যায়, আধুনিক বিশ্বে আর সামরিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের একচ্ছত্র শাসন টিকবে না। এই বিপ্লবী ঐতিহ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, মানুষ অধিকার, মর্যাদা ও আত্মত্যাগের জন্য একত্র হতে জানে।

এই মহাযাত্রা মূলত এক প্রতীকী প্রতিরোধ—যা আজকের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আরও তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী অবিচার, মিথ্যা প্রচার ও সাংস্কৃতিক দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আরবাঈন এক সুস্পষ্ট ঘোষণা: “এখন মানবতার জয় হবেই।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha