হাওজা নিউজ এজেন্সি: আল-হুথি আরব ও পশ্চিমা দেশের গাজা অবরোধে যোগসাজশের কথা উল্লেখ করে বলেন, গাজা ‘অত্যন্ত বর্বর ও নির্মম নিপীড়নের শিকার’।
তিনি বলেন, গাজার এই মানবিক সংকট সমগ্র বিশ্বের, বিশেষ করে মুসলিম ও আরব জাতির জন্য লজ্জাজনক।
তিনি বলেন, বিশ্বের নীরবতা ইসরায়েলকে আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে একটি মন্দির নির্মাণের ভয়ংকর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উৎসাহ দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরের জনগণকে সুরক্ষা না দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।
আনসারুল্লাহ নেতা উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি শাসন গাজা সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লিপ্ত। তিনি বলেন, পাঁচ মাস ধরে গাজার অবরোধের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণের যন্ত্রণার মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আরব ও পশ্চিমা দেশগুলোর যোগসাজশের মাধ্যমে ঘটছে। এসব দেশ বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করছে।
তিনি লেবাননের হিজবুল্লাহকে অস্ত্র হস্তান্তর করার জন্য চাপ দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন এবং বলেন, লেবানন রক্ষায় সবচেয়ে শক্তিশালী এই প্রতিরোধ আন্দোলন, যা লেবানিজ সেনাবাহিনীকে ছাড়িয়ে গেছে। সেই তাদের নিরস্ত্রীকরণ হচ্ছে ইসরায়েল ও আমেরিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র।
প্রতিদিন গাজায় দুর্ভিক্ষে পীড়িত শিশু ও শৈশবকালীন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি নিন্দা জানিয়ে বলেন, ২২ হাজারের অধিক মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক গাজার সীমান্তে আটকা পড়ে আছে, কিন্তু ইসরায়েল এসব সাহায্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘অপরাধী’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি জায়োনিস্ট শাসনের অপরাধ সমর্থন করেছেন এবং গাজার বর্তমান সংকটকে ‘বিধ্বংসী ও দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই পরিস্থিতি বিশ্ব, বিশেষ করে আরব ও ইসলামি জাতির জন্য লজ্জার।
দুর্ভিক্ষের পাশাপাশি গাজায় পানীয় জলের সঙ্কট প্রকট। আল-হৌথি বলেন, খাদ্যের জন্য সংগ্রামরত ফিলিস্তিনি নারী, শিশু ও শরণার্থীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবর্ষণের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে।
আপনার কমেন্ট