মঙ্গলবার ১২ আগস্ট ২০২৫ - ১৭:০২
সত্য প্রকাশের কারণে দখলদার ইসরায়েলের হাতে গাজার সাংবাদিকরা শহীদ হচ্ছেন

ইরানের ধর্মীয় নগরী কোম শহরে অবস্থিত হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)-এর মাজারের বক্তা হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হাবিবুল্লাহ ফারহাজাদ বলেন, “গাজার সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশের জন্য শহীদ হচ্ছেন, ক্ষুধায় শিশুরা মৃত্যুবরণ করছে, আর অনেক ইসলামি দেশ কেবল তা নীরবে দেখছে, কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”

হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হাবিবুল্লাহ ফারহাজাদ উল্লেখ করেন, “সমস্ত দেশের উচিত দখলদার ইসরায়েলি গণনাশকতা ও দমন নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে সম্পূর্ণ বয়কট ও কুটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, অনেক দেশ ইসলামি পরিচয় নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। এই লড়াইয়ের সামনের সারিতে একমাত্র দেশ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।”

ফারহাজাদ আরও বলেন, “ইরাকে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রার তীব্রতায় লক্ষ লক্ষ মানুষ অর্ধশতকেরও বেশি দূরত্ব পাড়ি দিয়ে আরবীনের পথে যাত্রা করছেন, যা আলী (আ.)-এর পরিবারের প্রতি অসাধারণ ভালোবাসার পরিচায়ক। প্রতিটি পদক্ষেপের সওয়াব একটি ওমরাহ হজের সমপরিমাণ।”

তিনি উৎসাহ দিয়ে বলেন, “যারা আর্থিকভাবে সক্ষম হলেও আরবাইনের সফর করতে পারছেন না, তারা অন্যদের যাত্রার জন্য সহায়তা দিয়ে এই মহৎ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যাতে মহান কাজের সওয়াবের শরীক হতে পারেন।”

ফারহাজাদ বলেন, “ইমাম হুসাইন (আ.) উদারতার অনন্য প্রতীক, তাঁর প্রতি ভালবাসা ও আনুগত্য আমাদের হৃদয়ে পবিত্র গুণাবলি হিসেবে গড়ে তোলা উচিত। আরবাইনের সময় অসংখ্য মুকিব (বিনামূল্যে খাদা ও সেবাদাতা স্টল) দিনরাত সেবা দিয়ে থাকেন, যার ফলে বিশাল সংখ্যক যাত্রী পানি ও খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা পান, যা এক ধরনের অলৌকিক ঘটনা।”

তিনি আরও বলেন, “আরবাইনের এই বিশেষ সময়ে ইমাম হুসাইনের প্রতি ভালোবাসা মানুষকে একত্রিত করে; এখানে কোনো যাত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকে না, সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে যাত্রা করেন।”

অবশেষে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, “একটি বর্ণনায় বলা হয়েছে, আল্লাহ যখন কারো জন্য কল্যাণ কামনা করেন, তখন তিনি তাঁর হৃদয়ে ইমাম হুসাইনের (আ.) প্রতি ভালোবাসা ও তাঁর দর্শনে আকর্ষণ সৃষ্টি করেন।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha