হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি আরবাইনকে “মুসলিম ও আহলে বাইত (আ.)–এর অনুসারীদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতির প্রতীক” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “এটি বিশ্ববাসীর কাছে একটি সুস্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেয়—মানুষ ন্যায়বিচার কামনা করে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।”
জনাব আখতারি আরও বলেন, এই পদযাত্রা “ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেয় যে মুসলিম জাতিগুলো কোনো চাপ বা ভয়ভীতির কাছে নতি স্বীকার করবে না; তারা ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকবে এবং ফিলিস্তিন, লেবানন, গাজা ও অন্যান্য অঞ্চলের প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি বজায় রাখবে।”
তার ভাষায়, এই উপস্থিতি প্রমাণ করে যে তারা “ইমাম হুসাইন (আ.)–এর বিদ্যালয়ের অনুসারী—যা শহীদত্ব ও অবিচলতার শিক্ষা দেয়।” মুসলিম জাতি “শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর দমননীতি ও অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবে।”
তিনি যোগ করেন, “এই উপস্থিতি ফিলিস্তিন, গাজা ও লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্দেশে এক স্পষ্ট বার্তা—আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি এবং সবসময় পাশে থাকব।”
তিনি আরো বলেন, আরবাইন কেবল একটি ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান নয়; বরং এটি ঐক্য, সহমর্মিতা এবং ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, “এই মহাকাব্যিক আয়োজন প্রতিবছর আরও বর্ণাঢ্যভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্বে শান্তি, ন্যায়বিচার ও প্রতিরোধের বার্তা পৌঁছে দেবে।”
আরবাইন হলো আশুরার চল্লিশতম দিন, যা ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.)–এর শাহাদাতের স্মরণে পালিত হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশগুলোর একটি। এবছরও ইরাকসহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখো তীর্থযাত্রী কারবালায় সমবেত হয়েছেন শোক, ঈমান ও প্রতিরোধের সংহতি প্রকাশে।
এই মন্তব্যের পটভূমি হলো গাজার ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি সামরিক হামলা ও অবরোধে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৭০০–এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
আপনার কমেন্ট