হাওজা নিউজ এজেন্সি: মালয়েশিয়ায় আহলে বাইত (আ.)-প্রেমী আলেম ও ফুযালাদের সঙ্গে সাক্ষাতে আয়াতুল্লাহ আ’রাফি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্মের ১৫০০তম বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নাহজুল বালাগা মহানবী (সা.)-কে জানার অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস। তিনি উল্লেখ করেন, আমিরুল মু’মিনীন ইমাম আলী (আ.) নাহজুল বালাগায় নবী করিম (সা.)-এর শতাধিক গুণাবলি বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
▫️আল্লাহর প্রতি পূর্ণাঙ্গ উবুদিয়্যাত,
▫️বিশেষভাবে প্রদত্ত রিসালাত,
▫️নবুওতের খাতেমিয়্যাত,
▫️মানবতার ইতিহাসে অচল দ্বার উন্মোচন,
▫️সত্যকে সঠিক পদ্ধতিতে উপস্থাপন,
▫️বাতিলের শক্তিকে পরাজিত করা,
▫️মিথ্যা দম্ভ ভেঙে দেওয়া এবং আল্লাহর আমানত বহনের মহান দায়িত্ব পালন।
তিনি মালয়েশিয়ার আলেমদের প্রতি দেশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, ঐক্য ও মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানান এবং বলেন, ইসলামী দেশগুলোর সম্পর্ক, বিশেষত ইরান ও মালয়েশিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা শক্তিশালী করতে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য।
আয়াতুল্লাহ আ’রাফি জোর দিয়ে বলেন, মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রয়োজন সভ্যতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও সামষ্টিক পরিচয়, আর এজন্য অতিরিক্ততা ও খণ্ডিত চিন্তাধারা পরিহার করা জরুরি।
তাঁর ভাষায়, “আহলে বাইত (আ.)-এর পথ হলো প্রজ্ঞা, যুক্তিবাদ, ঐক্য ও উম্মাহর অভিন্ন পরিচয়।”
তিনি আরও বলেন, আহলে বাইত (আ.)-এর আদর্শ কোনো একটি মাযহাব বা সংস্কৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি বিশ্বজনীন ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত একটি গ্লোবাল বার্তা।
এ প্রসঙ্গে তিনি ইমাম খোমেইনি (রহ.), ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি, শহীদ সাইয়েদ মোহাম্মদ বাকির আস-সাদর এবং শহীদ মুরতজা মুতাহহারিকে সমসাময়িক যুগে আহলে বাইত (আ.)-এর বিশ্বজনীন চিন্তাধারার প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন।
আপনার কমেন্ট