হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ আলিরেজা আরাফি, হাওযাহর পরিচালক, আজ (শনিবার ১৫ শেহরিওয়ার ১৪০৪ হিজরি শামসি) কোম শহরের মজমা-এ আমুজেশি ও পজুহেশি আইম্মায়ে আতহার আলাইহিমুসসালাম-এর নতুন শিক্ষাবর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এই অনুষ্ঠানটি ওই মজমার ফিকাহত হল-এ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি শুভেচ্ছা জানান পবিত্র নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর শুভ জন্মবার্ষিকীতে এবং "সপ্তাহে ওহদাত" (ঐক্যের সপ্তাহ) উপলক্ষে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন: এ বছর হলো ইসলাম প্রিয় নবীর (সা.) জন্মের এক হাজার পাঁচশতম বছর। আমীরুল মুমিনীন (আ.) নাহজুল বালাগা-এর চল্লিশ জায়গায় নবী করীম (সা.) সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, যা নবী মোহাম্মদ (সা.)-এর মহিমান্বিত চেহারা সুন্দরভাবে চিত্রিত করে।
হাওজা পরিচালক আরো বলেন: প্রিয় নবী (সা.) বংশধারা ও গুণাবলীর দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন; সেই অনন্য ব্যক্তিত্ব সবচেয়ে নিকৃষ্ট পরিবেশে, অজ্ঞতার যুগে এবং পথভ্রষ্টতার সময়ে আবির্ভূত হন।
তিনি আরও বলেন: নবুওয়তের এই সুউচ্চ বৃক্ষ সবচেয়ে পবিত্র ভূমি মক্কা মুকাররমায় জন্মেছিল ও অঙ্কুরিত হয়েছিল। আল্লাহর রাসূল (সা.) একটি নতুন সভ্যতার সূচনা করেছিলেন। তিনি মানবজাতির জন্য গায়বের জগতে পৌঁছানোর দরজা খুলে দিয়েছিলেন এবং এমন সত্য নিয়ে এসেছিলেন যা অন্য কোথাও ছিল না।
হাওজাগুলো নবীর উত্তরাধিকারী
হাওজার উচ্চ পরিষদের সদস্য যোগ করেন: আল্লাহর নবী (সা.) আমাদের সবার মাঝে প্রাণ সঞ্চার করেছেন এবং মানবজাতিকে আলো দিয়েছেন। এই মহান বিপ্লবই ছিল আল্লাহর রাসূলের (সা.) দ্বারা, যা মানবজাতিকে নতুন জগত ও নতুন দিগন্তে প্রবেশ করিয়েছে। আজকের হাওযাহ হলো সেই নবী এবং তাঁর পবিত্র পরিবারে উত্তরাধিকারী।
আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন: আমাদের সব হাওজা শিক্ষার্থীর পরিচয়ই হলো রাসূলুল্লাহ (সা.) ও ইমাম সাদিক (আ.)-এর পথের ধারাবাহিকতা। এটাই আমাদের সত্তার মূল উপাদান ও অস্তিত্বের সংরক্ষণকারী উপাদান। হাওজা মানেই নবুওয়ত ও ইমামতের ধারাবাহিকতা। এই কাজ অন্য কোথাও নেই, কেবল এখানেই বিদ্যমান। হাওযাহ হলো এই পথের ধারাবাহিকতা, আর আমাদের মাঝে নবীর জ্ঞান, ঐতিহ্য, বৈজ্ঞানিক ও ব্যবহারিক সীরাত প্রকাশ ও প্রতিফলিত হওয়া উচিত।
আপনার কমেন্ট