বিশেষ সাক্ষাৎকার
সালামুন আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
হাওজা নিউজ এজেন্সি: সম্মানিত সৈয়দ রাশাদাত আলী আল কাদেরী, ধন্যবাদ আমাদের সময় দেওয়ার জন্য। প্রথমেই জানতে চাই, ঐক্য সপ্তাহ (হাফতায়ে ওয়াহদাত) আসলে কী এবং এর মূল উদ্দেশ্য কী?
সৈয়দ রাশাদাত আলী আল কাদেরী: ওয়া আলাইকুম সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আপনাকেও ধন্যবাদ। ঐক্য সপ্তাহ হলো এমন একটি সময়, যখন মুসলিম উম্মাহর বিভাজন ভুলে সবাইকে এক কাতারে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং উম্মাহর সম্মিলিত শক্তি জাগ্রত করা।
হাওজা নিউজ এজেন্সি: বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ঐক্য সপ্তাহকে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন?
সৈয়দ রাশাদাত আলী আল কাদেরী: আজকের দুনিয়ায় মুসলিম সমাজ নানা সংকটে জর্জরিত-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, অর্থনৈতিক চাপ, সামাজিক ভেদাভেদ। এই পরিস্থিতিতে ঐক্য সপ্তাহ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, একমাত্র ঐক্যই পারে এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে।
হাওজা নিউজ এজেন্সি: মুসলিম উম্মাহর বিভাজন সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
সৈয়দ রাশাদাত আলী আল কাদেরী: বিভাজন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশাল ক্ষতি। যখন আমরা বিভক্ত হই, তখন আমাদের শক্তি দুর্বল হয় এবং অন্যরা সেই সুযোগ গ্রহণ করে। ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি-আমরা যদি তা বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে উম্মাহ অজেয় শক্তিতে পরিণত হবে।
হাওজা নিউজ এজেন্সি: তাহলে বাস্তবে কীভাবে আমরা এই ঐক্যের পথকে সুদৃঢ় করতে পারি?
সৈয়দ রাশাদাত আলী আল কাদেরী: প্রথমত, আমাদের পারস্পরিক সহনশীলতা ও বোঝাপড়া বাড়াতে হবে। মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে সেটাকে সংঘাতে রূপ না দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে ভিত্তি করে তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যের পথে এগিয়ে নিতে হবে।
হাওজা নিউজ এজেন্সি: শেষ প্রশ্ন-আপনার দৃষ্টিতে ঐক্য সপ্তাহ মুসলিম সমাজকে কী বার্তা দেয়?
সৈয়দ রাশাদাত আলী আল কাদেরী: ঐক্য সপ্তাহ আমাদের শেখায়-ভেদাভেদ ভুলে আমরা সবাই একই উম্মাহ, একই কিবলামুখী। একসঙ্গে চলতে পারলেই আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব এবং ইসলামের প্রকৃত মহিমা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে।
ফলাফল: এই সাক্ষাৎকারে সৈয়দ রাশাদাত আলী আল কাদেরী মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের গুরুত্ব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ঐক্যহীনতার অন্ধকার ভেদ করে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির আলোই মুসলিম সমাজকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে।
আপনার কমেন্ট