হাওজা নিউজ এজেন্সি: এ সপ্তাহের গার্মসারের জুমার খুতবায় তিনি বলেন, গাজার প্রতিদিনের মর্মান্তিক ঘটনাবলি প্রতিটি মুত্তাকির হৃদয়কে কষ্ট দেয়। যারা নিপীড়িতদের পক্ষে দাঁড়ায় না, তারা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বাণী অনুযায়ী প্রকৃত মুসলিম হিসেবে বিবেচিত নয়। তিনি “ইরান হেমদেল” অভিযানের মাধ্যমে গাজার জন্য সহায়তা সংগ্রহের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বলেন, ইরানি জনগণ সবসময় ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকেছে এবং এই পথ চলতে থাকবে।
তিনি কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলাকে আমেরিকার সঙ্গে সমন্বিত ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, আমেরিকার ওপর ভরসা আবারও বিফল প্রমাণিত হলো। ইসলামি দেশগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে এগিয়ে এসে নিরাপত্তা ও নিপীড়িতদের রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, শক্তি ও মর্যাদা রক্ষা করে আলোচনা গ্রহণযোগ্য হলেও, অতীতের অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপ ইরানি জাতির মঙ্গল চায়নি। তাই পূর্বের মতো ব্যর্থ চুক্তি—যেমন বারজাম—পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয়।
খুতবার শেষে তিনি দেশের পরিস্থিতি ও সরকারের কার্যক্রম নিয়ে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর দিকনির্দেশনার উল্লেখ করে বলেন, নেতার সমালোচনা ও পরামর্শ আন্তরিকতার সঙ্গে সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে করা হয়। তাই সব বিপ্লবী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের ইতিবাচক সাফল্য জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে এবং শত্রুর বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় প্রভাবিত হওয়া যাবে না।
আপনার কমেন্ট