হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ আ'রাফি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামের শত্রুরা মুসলমানদের সামনে মাত্র দুটি বিকল্প রাখে— লাঞ্ছনা ও আত্মসমর্পণ অথবা সম্পূর্ণ ধ্বংস।
তিনি আলোচনার প্রক্রিয়াকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “ইরানি জাতি কখনো আক্রমণকারী ছিল না এবং কখনো লাঞ্ছনা মেনে নেবে না। অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে, শত্রুরা প্রতারক ও অত্যাচারী। আমরা কষ্ট ও কঠিন পরিস্থিতি মেনে নেব, কিন্তু কুফর ও ঔদ্ধত্যের সামনে মাথা নত করব না।”
কাতারের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কাতার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র, সেখানে ওয়াশিংটনের একটি বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তবুও এ হামলা প্রমাণ করে, ইসলামের শত্রুরা কাউকেই ছাড় দেয় না; কোনো সরকার বা গোষ্ঠীই তাদের নিশানার বাইরে নয়।”
খুতবায় তিনি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বের দিকেও ইঙ্গিত করেন। তাঁর মতে, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাওযায়ে ইলমিয়া একটি আলোকোজ্জ্বল ত্রিভুজ, যার ওপর সমাজের সাফল্য ও অগ্রগতি নির্ভর করে। তিনি শিক্ষাব্যবস্থার পাঁচটি মৌলনীতি তুলে ধরেন—
১. জ্ঞান ও চিন্তার বিকাশ,
২. আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষা,
৩. কারিগরি ও দক্ষতার প্রশিক্ষণ,
৪. সামাজিক দায়িত্বশীলতা,
৫. রাজনৈতিক ও বিপ্লবী বাসিরাত (অন্তর্দৃষ্টি ও সচেতনতা)।
আয়াতুল্লাহ আ'রাফি সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেন যে— পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মতো মৌলিক সমস্যাগুলোতে বিপ্লবী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সাইবার ও ইন্টারনেট অবকাঠামোকে শক্তিশালী করতে হবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করতে হবে। কারণ যুদ্ধ আমাদের দুর্বলতাগুলো উন্মোচিত করে দিয়েছে।
তিনি সাংস্কৃতিক বিষয় ও হিজাব প্রসঙ্গেও আলোকপাত করেন এবং বলেন, “দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে, কারণ একটি ভুল পদক্ষেপ গোটা সমাজে বহুগুণ প্রভাব বিস্তার করে।”
খুতবার শেষাংশে তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর ১৫০০তম জন্মজয়ন্তীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, “রাসূলুল্লাহর (সা.) মাব‘আস মানবজাতিকে জাহেলিয়াত থেকে মুক্ত করে আলোকোজ্জ্বল ঐশী ও সভ্যতার পথে নিয়ে গিয়েছিল। আজ উম্মতে ইসলামকে আবারও নবীর (সা.) সাথে বায়আত নবায়ন করতে হবে, যাতে অন্তরে নূরানিয়াত সৃষ্টি হয়, ঐক্য মজবুত হয় এবং তাওহীদের ফ্রন্ট শক্তিশালী হয়।”
আপনার কমেন্ট