হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসফাহানে হাওজায়ে ইলমিয়ার কেন্দ্রগুলোর কর্মকর্তাদের বৈঠক, সহকারী পরিষদ এবং “হাওজায়ে পেশরো" ও ইসফাহান হাওজার সচিবালয়ের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি ইসফাহানের প্রাচীন হাওজার মূল্যবান কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং ভার্চুয়াল স্পেসে সক্রিয় উপস্থিতি ও লক্ষ্যভিত্তিক দাওয়াত ও প্রচারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, ইসফাহানের হাওজায় ইতিবাচক ও ধারাবাহিক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আয়াতুল্লাহিল উজমা মাযাহেরি ও আয়াতুল্লাহ তাবাতাবায়ী নেজাদের নির্দেশনার ফলে এই উন্নয়নের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে। তবে এখনো কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং অধিকতর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। কিছু কার্যদল দ্রুত ফলাফল দিচ্ছে, আবার কিছু দেরিতে; কিন্তু মূল বিষয় হলো এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা।
ভার্চুয়াল স্পেসকে বড় হুমকি আখ্যায়িত করে আয়াতুল্লাহ বুশেহরি বলেন, আজকের দিনে এই জগৎ একপ্রকার হত্যাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, যা তরুণ প্রজন্মকে—হাওজাভুক্ত বা অ-হাওজাভুক্ত উভয়কেই—মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাই এর মোকাবিলা অপরিহার্য দায়িত্ব।
তিনি প্রস্তাব করেন, বিশেষায়িত কেন্দ্র গড়ে তোলা, হাওজার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি, বিভ্রান্তি পর্যবেক্ষণ, বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস ও সুসংগঠিত জবাবদিহির মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তাবলীগের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার শুরু থেকেই ছাত্রদের দাওয়াত ও প্রচারের কৌশল শেখানো উচিত। পাঠ্যক্রমকে আরও সমন্বিত করা প্রয়োজন, যাতে প্রতিটি তালিবে ইলম ভবিষ্যতে যথাযথভাবে দাওয়াতি দায়িত্ব পালন করতে পারে। তাঁর মতে, এমনকি একজন ফকিহ ও মুজতাহিদও এক অর্থে দ্বীন প্রচারক। তাই প্রচারের ক্ষেত্র অত্যন্ত বিস্তৃত এবং এটিকে অবহেলা করা উচিত নয়।
ভাষণের শেষাংশে আয়াতুল্লাহ হোসেইনি বুশেহরি রাহবারে মুয়াজ্জাম আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, হাওজাকে অবশ্যই ইসলামী প্রজাতন্ত্রের অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে এগোতে হবে এবং নিজেদের নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। তিনি কোম, ইসফাহান ও মাশহাদের হাওজাগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় এবং প্রতিটি হাওযার অনন্য সক্ষমতা কাজে লাগানোর মাধ্যমে কার্যকর সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন।
আপনার কমেন্ট