শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১৯:৩৭
হযরত মাসুমা (সা.)-এর আগমনেই কুম পেল ধর্মীয় মর্যাদা ও আধ্যাত্মিক দীপ্তি

হজরত মাসুমা (সা.) কুম শহরে পৌঁছালেন, তখন থেকেই শহরটি অন্ধকারাচ্ছন্ন ও নির্যাতনময় শাসনামলে আহলে বাইতের শিক্ষা-দীক্ষার মূল কেন্দ্র হিসেবে দীপ্তি ছড়াতে শুরু করে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, কোনো সন্দেহ নেই যে হযরত মাসুমা (সা.)-এর আগমন ও ভূমিকা কুম শহরের ধর্মীয় মর্যাদা অর্জনে নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছে। ইতিহাস সাক্ষী যে এই মহীয়সী ভদ্রমহিলা, নবী করিম (সা.)-এর আহলে বাইতের কোলজুড়ে লালিত-শিক্ষিত এক জ্ঞানী ও আধ্যাত্মিক কন্যা, তাঁর যাত্রাপথে বিভিন্ন শহরের মানুষের মাঝে মারেফাত ও বেলায়েতের বীজ বপন করেছিলেন।

ইমামদের (আ.) সাহাবী, অনুরাগী ও সঙ্গীদের সাথে ভ্রমণের সময় তিনি প্রতিটি ধাপে মানুষকে আলোর পথে আহ্বান জানান। 
অবশেষে যখন তিনি কুম শহরে পৌঁছালেন, তখন থেকেই শহরটি অন্ধকারাচ্ছন্ন ও নির্যাতনময় শাসনামলে আহলে বাইতের শিক্ষা-দীক্ষার মূল কেন্দ্র হিসেবে দীপ্তি ছড়াতে শুরু করে।

তাঁর আগমনের পর থেকে কুম পরিণত হয় এক জ্ঞানের বাতিঘরে, যেখান থেকে আহলে বাইতের শিক্ষা ও ইসলামের প্রকৃত দীক্ষা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

ইতিহাসবিদদের মতে, হযরত মাসুমা (সা.)-এর আগমন কুমের জন্য শুধু আধ্যাত্মিক নয়, বরং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের সূচনা হয়েছিল।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha