হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য শান্তি, ন্যায় ও সত্যের বার্তাবাহক। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রদত্ত সবচেয়ে বড় আমানত হলো ইসলাম, আর সেই আমানতের রক্ষক হিসেবে মহানবী (সা.) সারাজীবন নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।
ঐতিহাসিক বিবরণ অনুযায়ী, নবী করিম (সা.)-এর জীবনের প্রতিটি ক্ষণ জুড়েই ছিল ইসলাম রক্ষার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা। যেদিন থেকে আল্লাহর এই পবিত্র আমানত তাঁর হাতে অর্পিত হয়েছিল, সেদিন থেকে ইন্তেকালের মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি কখনোই সামান্যতম অবহেলা বা শিথিলতা দেখাননি। বরং অক্লান্ত শ্রম, ধৈর্য এবং আত্মত্যাগের মাধ্যমে তিনি ইসলামকে টিকিয়ে রেখেছেন।
শুধু মহানবী (সা.)-ই নন, তাঁর বংশধরগণ তথা আহলে বাইত এবং ইমামগণও এই দায়িত্ব বহন করেছেন সর্বান্তকরণে। তাঁদের প্রত্যেকেই ইসলামকে সুরক্ষিত ও অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
ধর্মবিশেষজ্ঞদের মতে, নবীর অনুসারীদেরও উচিত একই নীতি মেনে চলা এবং ইসলামের মূল চেতনাকে রক্ষা করা। তারা বলেন, যেভাবে মহানবী (সা.) ও ইমামগণ আমানতের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন, তেমনি মুসলমানদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামকে মর্যাদার সাথে ধারণ করতে হবে।
সর্বোপরি, ইসলাম শুধু একটি ধর্ম নয়, বরং এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে সমগ্র মানবজাতির জন্য অর্পিত এক পবিত্র আমানত। আর এই আমানত রক্ষার দায়িত্ব প্রতিটি মুসলমানের উপর সমানভাবে বর্তায়।
আপনার কমেন্ট