হাওজা নিউজ এজেন্সি: প্রতিবাদকারীরা বলছেন, দক্ষিণ গাজার “নিরাপদ এলাকা” হিসেবে ইসরায়েলের দাবি অর্থহীন, কারণ অতীতে সেই একই অঞ্চল লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। এক গাজার নারী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন: “এক টুকরো কাগজ দিয়ে এক মিলিয়ন মানুষকে শহর ত্যাগের নির্দেশ দেয়া যায়। আমাদের রক্ত কি এত মূল্যহীন?”
ফিল্ড রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা লিফলেট ছড়িয়ে জনগণকে ত্যাগের জন্য বাধ্য করার চেষ্টা করেছেন, যা বাসিন্দারা ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি’ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করেছেন। দক্ষিণ গাজায় যাওয়া বা বর্তমান স্থানে থাকা উভয় ক্ষেত্রেই মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে, কারণ আগে থেকেই জনবহুল অঞ্চলগুলো ধ্বংস হয়েছে।
গত কয়েক দিনে গাজার বহু আবাসিক টাওয়ার ও পুরো এলাকা ধ্বংস হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা প্ল্যাকার্ডে লিখেছেন: “এটি আমাদের বাড়ি— আমরা বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাব না” এবং “আমাদের পতাকা সমুন্নত থাকবে,” যা তাদের দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও আইন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, অসামরিক জনগণকে গণভাবে বাস্তুচ্যুত করার চেষ্টা মানবিক আইনের লঙ্ঘন। প্রতিবাদকারীরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা যায়।
গাজার মানুষ বারবার ধ্বংস ও বাস্তুচ্যুতির চক্রের মুখোমুখি হলেও স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন: “আমরা কখনোই গাজা ছেড়ে যাব না।” এই প্রতিবাদ বিশ্বের কাছে একটি শক্তিশালী সংকেত পাঠাচ্ছে, যে তারা হুমকি ও ধ্বংস সত্ত্বেও তাদের মাতৃভূমিতে অবিচল থাকবেন।
আপনার কমেন্ট