হাওজা নিউজ এজেন্সি: কাতারের আল-জাজিরা টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শিয়া আল-সুদানি সম্প্রতি কাতারে ইসরায়েলি হামলাকে “চাঞ্চল্যকর ঘটনা” এবং “আন্তর্জাতিক আইন ও নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন” হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন।
তিনি এই হামলাকে ইসরায়েলের আগ্রাসী ও অপরাধমূলক নীতির প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এই হামলা কাতার এবং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে। ইসরায়েল সবকিছুতে অগ্রাহ্যতা দেখাচ্ছে। গাজার ওপর গত দুই বছরে যা হয়েছে তা হলো নিরপরাধ মানুষের উপর পরিকল্পিত এবং লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাযজ্ঞ।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ইসলামী দেশগুলোর যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের কোনো বাধা নেই। আমাদের হাতে এমন অনেক উপকরণ ও সক্ষমতা রয়েছে যা ইসরায়েলের ধারাবাহিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর), ইসরায়েলি যুদ্ধ বিমান কাতারের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দেশটির রাজধানী দোহায় বোমা হামলা চালায়। হামলার লক্ষ্য ছিল কাতারের কাতারা অঞ্চলে উচ্চ পর্যায়ের হামাস প্রতিনিধি দলের বৈঠকের স্থান, যার নেতৃত্বে ছিলেন খালিল আল-হাইয়া। বিস্ফোরণ এবং ঘন ধোঁয়ার সত্ত্বেও হামাস প্রতিনিধিরা নিরাপদে ছিলেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা ইসরায়েলের দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশও এই হামলাকে নিন্দা জানিয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে “ভয়ঙ্কর কৌশল এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং সতর্ক করেছেন যে, দোহা এই দুঃসাহসী কর্মকাণ্ডের সামনে নীরব থাকবে না।
আপনার কমেন্ট