হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি এই মন্তব্য করেন ২৩তম ব্যাচের সেনা অফিসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপে, যা আর্মি ট্রেনিং সেন্টার ০১ “শহিদানে নাজাজা”-তে অনুষ্ঠিত হয়। রবিউল-আওয়াল মাস ও মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানানো হয়। হুজ্জতুল ইসলাম মোহাম্মদহসানি শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেন, সামরিক পেশা শুধু শক্তি প্রয়োগ নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও নৈতিক দায়িত্বও বহন করে এবং আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান প্রজন্ম সাহসী ও বিশ্বাসভিত্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ হাসানি বলেন, “বিভিন্ন পেশার মধ্যে সামরিক পেশা সবচেয়ে পবিত্র, গুরুত্বপূর্ণ, মর্যাদাবান ও জনপ্রিয়। একটি পেশার মর্যাদা নির্ভর করে তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের উপর। সামরিক পেশার লক্ষ্য হলো ইসলাম, আল্লাহর মূল্যবোধ, কোরআন, মুসলিম উম্মাহ, দেশ এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সিস্টেম রক্ষা। পূর্ববর্তী প্রজন্ম গর্বের সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করেছে এবং এখন এটি আপনার হাতে এসেছে। আপনাদেরও সাহসী, বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্বাসভিত্তিকভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিতে হবে।”
তিনি নাহজুল বালাগার একটি হাদিসের উদাহরণ দিয়ে বলেন, “যে কেউ অন্যায় ও শোষণের অস্ত্র তীক্ষ্ণ করে, সে নিজেই তার শিকার হবে। তাই আমাদের কখনোই অন্যায় বা জালিমদের পাশে দাঁড়ানো উচিত নয়। ইতিহাসে আমরা দেখেছি, যারা শোষকের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তারা নিজেই বিপদে পড়েছে; যেমন সাবেক ইরাকি নেতা সাদ্দাম হুসেইন মার্কিন বাহিনীর হাতে নিঃশেষ হয়েছিল।”
হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ হাসানি আরও বলেন, “বর্তমানে কিছু ইসলামি ও প্রতিবেশী দেশ সম্পূর্ণভাবে মার্কিন ও ইসরায়েলি নীতির পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। তারা গাজা, ইরান, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে সহযোগিতা করছে। তবে তারা নিজেই সেই বিপদের মুখে পড়েছে, যা তারা নিজেরাই তৈরি করেছে।”
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, “ইসরায়েলি শোষণমূলক শাসনের বিরুদ্ধে জয় নিশ্চিত করার একমাত্র পথ হলো ইসলামী দেশগুলোর ঐক্য। এ পথে আপনাদেরও, ভবিষ্যৎ সেনা অফিসার হিসেবে, সামরিক, ধর্মীয় ও নিরাপত্তা জ্ঞান বাড়াতে হবে, যাতে শত্রুকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা যায়।”
উক্ত অনুষ্ঠানে হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ হাসানি শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন যে, ইসলাম ও দেশ সুরক্ষার দায়িত্ব শুধু সামরিক দিকেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি অফিসারকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বর্তমান প্রজন্ম তাদের পূর্বসূরীদের মতো সাহসী, বুদ্ধিমান ও দৃঢ় বিশ্বাসভিত্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে এবং এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেবে।
আপনার কমেন্ট