হাওজা নিউজ এজেন্সি: প্রদেশটির ওয়ালিয়ে ফাকীহর প্রতিনিধি ও ইমামে জুমা হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন গোলাম আলী সাফায়ী বুশেহরী, বুশেহরের ইমাম খোমেইনি (রহ.) হাওজার পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে বলেন,
“হাওজাগুলোতে শিক্ষা ও নৈতিক শৃঙ্খলা অপরিহার্য। শিক্ষকদের নিয়মশৃঙ্খলা ও আন্তরিক উপস্থিতি শিক্ষা ও তারবিয়াতের ক্ষেত্রে তালাবাদের ভবিষ্যৎ গঠনে নির্ণায়ক ভূমিকা রাখে। বিপরীতে শিক্ষকদের শৃঙ্খলাহীনতা তালাবাদের মাঝেও অনিয়মের জন্ম দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকরা কেবল পাঠদানেই সীমাবদ্ধ থাকবেন না; বরং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, নৈতিক সভা এবং গবেষণাধর্মী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করবেন। শিক্ষকদের পিতৃসুলভ উপস্থিতি ও সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমেই হাওজা প্রাণবন্ত ও কার্যকর হতে পারে।”
গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রত্যেক শিক্ষাস্তরে নির্দিষ্ট গবেষণা কার্যক্রম থাকা প্রয়োজন। তালাবাদের উচিত প্রারম্ভ থেকেই শিক্ষা গবেষণার পদ্ধতি ও প্রবন্ধ রচনায় অভ্যস্ত হওয়া, যাতে ভবিষ্যতে তারা দক্ষ গবেষক ও রচয়িতা হতে পারে।”
বুশহরের ইমামে জুমা নৈতিক পাঠের (درس اخلاق) গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করে বলেন, নৈতিক শিক্ষা (দা’রসে আখলাক) অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে; কারণ বহু সমস্যার মূল হলো নৈতিকতা থেকে বিচ্যুতি। তাই নৈতিক শিক্ষা ও জ্ঞানার্জন একসঙ্গে চললেই তালাবাদের সাফল্য ও উৎকর্ষ নিশ্চিত হবে।”
শেষে তিনি হাওজার সাংস্কৃতিক সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন “শত্রুরা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিকল্পনা নিয়েছে। তাই আমাদের সতর্কতা ও ঐক্যের মাধ্যমে হাওজাগুলোকে এসব ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে হবে।”
আপনার কমেন্ট