হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি আজ প্রাদেশিক সাধারণ সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সভায় বলেন, “ইরান-ইরাক যুদ্ধের (আট বছরের আরোপিত যুদ্ধ) স্মৃতি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে এখনও বড় ঘাটতি রয়েছে। অনেক সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র ও শিল্পকর্ম তৈরি হলেও যুদ্ধের প্রকৃত চেতনা জাতির সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরা হয়নি।”
তিনি বলেন, “ইরান-ইরাক যুদ্ধের পথ এখানেই শেষ নয়। আজ যারা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন দিচ্ছেন, তারা সেই যুদ্ধের শহীদদের পথেরই উত্তরসূরি।”
তিনি বলেন, “সংস্কৃতি কোনো অস্পষ্ট বা ইচ্ছেমতো ব্যাখ্যাযোগ্য বিষয় নয়। এর একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। আমাদের দেশ একটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র – তাই সংস্কৃতিও হতে হবে এই ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইরানি সংস্কৃতি ও ইসলামী সংস্কৃতি একে অপরের পরিপূরক, আর প্রজাতান্ত্রিকতাও এর অবিচ্ছেদ্য অংশ।”
তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, “ইরানের জনগণ বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সংবিধানকে গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদন দিয়েছে। তাই কেউ এই মৌলিক নীতিগুলো উপেক্ষা করতে পারে না।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “কিছু মহল বিদেশি সংস্কৃতি দেশে চালু করার চেষ্টা করছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাত্ত্বিক আলোচনা সমস্যা নয়, কিন্তু যখন তা বেসরকারি সংগঠন গঠন ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদেশি সংস্কৃতির প্রচারে পরিণত হয়, তখন তা জাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। পশ্চিমা সংস্কৃতি আমদানি আমরা মেনে নিতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “আগে এসব কার্যক্রম গোপনে হতো, কিন্তু এখন প্রকাশ্যে ঘটছে। তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি ও ইসলামি দিকনির্দেশনা মন্ত্রণালয়কে একযোগে কাজ করে এই কার্যক্রম রোধ করতে হবে।”
আপনার কমেন্ট