বৃহস্পতিবার ২ অক্টোবর ২০২৫ - ১৬:৪৫
এতসব মিথ্যা ও অহংকার কেন?

জগৎ সৌন্দর্য, নূর ও নিয়মে পূর্ণ। কিন্তু মানুষ নিজের বাহ্যিক চেহারা, বিচ্ছিন্ন চিন্তাভাবনা ও মিথ্যার কারণে নিজের স্বাভাবিক পথ ও ক্ষমতাকে অগোছালো করে তোলে। অহংকার ও স্বার্থপরতা তাকে সত্য এবং আল্লাহর বন্দেগি থেকে দূরে ঠেলে দেয়। অথচ সব মানুষই প্রয়োজনময় এবং আল্লাহ প্রত্যেক দুর্বলতা ও বিভ্রান্তির ওপরে পরিপূর্ণ।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হাসান জাদেহ আমুলী তাঁর এক বক্তৃতায় “মানুষের বাহ্যিক বিভ্রান্তি ও তার অন্তরের হেদায়াতপ্রয়োজন” বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

জগতের সৌন্দর্য ও মানুষের দায়িত্ব
জগৎ এমন সৌন্দর্য, এমন রঙিনতা, আলোক ও বিভিন্ন প্রাণী দিয়ে ভরা—এই সবকিছুতে থাকা নিয়ম, সৌন্দর্য ও মহত্ত্ব আমরা কেন কেবল বাহ্যিক দৃশ্যের ভিত্তিতে বিচার করি?

মানুষের দৃষ্টি, পদক্ষেপ, আঙুল—সবই যেখানে চলে যায়, মনে হয় সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সবই বাহ্যিক মাত্র। মস্তিষ্ক ও সমস্ত চিন্তাধারা—সবই অগোছালো, বিভ্রান্ত ও অস্থির।

মিথ্যা, বিশ্বাসঘাতকতা ও অহংকার
মানুষ যখন মিথ্যা বলে বা বিশ্বাসঘাতকতা করে, তখন সমস্ত অগোছাল ভাব আরও বৃদ্ধি পায়। আমরা কেন মিথ্যা বলি? কেন সত্যের বিপরীতে কথা বলি? কেন বিশ্বাসঘাতকতা করি? কেন অহংকারে ভরে যাই?

আমরা কি মনে করি অন্যের উপর অহংকার করার অধিকার আমাদের আছে? আমাদের অহংকারের মানে কী? আমাদের স্বার্থপরতা ও অহংকার কী বোঝায়?

সত্য হল—সব মানুষের শুরু ও শেষ নির্দিষ্ট। আমরা সবাই প্রয়োজনময় ও অসহায়। তাহলে অন্যের উপর অহংকার করার কী মানে?

আল্লাহর অতি পরমত্ব
যদি মানুষ বিভ্রান্ত বা হারানোও থাকে, যদি তারা মুশরিক বা দুর্নীতিগ্রস্তও হয়, তবুও আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব অপরিসীম। নেমরুদ বা ফেরাউনদের দেখুন, যারা সর্বনিম্ন অবস্থা পর্যন্ত পতিত হয়েছে, তবুও তাদের পালনকর্তা সর্বোত্তম ও সর্বোচ্চ।

মূল বার্তা: মানুষের বিভ্রান্তি, মিথ্যা, অহংকার ও স্বার্থপরতা তার অন্তর ও বাহ্যিক জীবনের অগোছালির প্রতিফলন। প্রকৃতপক্ষে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও শ্রেষ্ঠ। মানুষকে নিজের অহংকার ও মিথ্যাচার থেকে ফিরে আসতে হবে, প্রকৃত নৈতিকতা, সত্য ও বিনম্রতার পথে চলতে হবে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha