হাওজা নিউজ এজেন্সি: পারিবারিক শিক্ষা বিশেষজ্ঞ হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সাইয়্যেদ আলী রেজা তারাশিয়ুন “কিশোরদের আক্রমণাত্মক আচরণ ও আত্মবিশ্বাস হ্রাস” বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রশ্ন
একজন ১৩ বছরের কিশোর মোবাইল ব্যবহার করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে অভিভাবকরা কীভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন? ফোন কেড়ে নেওয়া কি সমাধান, নাকি অন্য কোনো উপায় আছে?
উত্তর
হুজ্জাতুল ইসলাম তারাশিয়ুন বলেন, বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দুটি মূল পদ্ধতি আছে—
১. মানসিক ব্যস্ততা তৈরি করা
২. শারীরিক কার্যক্রমে যুক্ত করা
তিনি উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে তার রচিত “তারবিয়াত নওরদি” বইটি খুবই সহায়ক। এতে চল্লিশটি বাস্তব শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা ও ঘরে মোবাইল ব্যবস্থাপনার জন্য ১১-১২টি কার্যকর উপায় দেওয়া আছে। এছাড়া কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক কার্যক্রম সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ রয়েছে।
বুদ্ধিদীপ্ত সময় ব্যয়
তিনি জোর দিয়ে বলেন, অভিভাবকরা কেবল সময় ব্যয় করলেই হবে না; সন্তানের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এবং মানসিক সংযোগ গড়ে তোলা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, বাবা-মা রান্নাঘরে বা কর্মস্থলে সময় ব্যয় করলেও যদি তা বুদ্ধিদীপ্তভাবে ব্যবহার না করা হয়, তা সন্তানের শিক্ষায় কার্যকর হয় না। সন্তানকে হাঁটা, ভ্রমণ বা কর্মস্থলে নিয়ে গিয়ে অভিজ্ঞতা দেখানো অত্যন্ত শিক্ষণীয়।
সচেতনতা ও অধ্যয়ন
তিনি মনে করান, কিশোর বয়স সাধারণত ১২–১৯ বছর পর্যন্ত। এই সময়ের বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য অভিভাবকদের কিশোর সম্পর্কিত বইপত্র অধ্যয়ন করা জরুরি। কিন্তু বাস্তবে খুব কম অভিভাবকই এই বয়সে সন্তান সম্পর্কে অন্তত একটি বই পড়েছেন।
ফলশ্রুতিতে, অভিভাবকরা অনেক সময় কিশোর সন্তানকে সঠিকভাবে বোঝতে ব্যর্থ হন। কিশোররা তাদের প্রাকৃতিক বিকাশের পথে এগোয়, কিন্তু অভিভাবকরা বয়সভিত্তিক বৈশিষ্ট্য না জানায় সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন না।
আপনার কমেন্ট