রবিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৫ - ১৯:৫৭
ব্যাগ্রাম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন

ব্যাগ্রাম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন এবং ইরান,চীন ও রাশিয়ার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া / কেন তেহরান উদ্বিগ্ন?

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন জার্নাল দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট: ব্যাগ্রাম বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন এবং ইরান,চীন ও রাশিয়ার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া / কেন তেহরান উদ্বিগ্ন?

হয় তালেবান সরকার নিজে ব্যাগ্রাম ঘাঁটি মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কাছে হস্তান্তর করবে ও তুলে দেবে অথবা মাযুরা পাকিস্তানের মাধ্যমে ও মধ্য দিয়ে হামলা চালিয়ে তা জবরদখল করতে চাচ্ছে।আর উভয় ক্ষেত্রেই মুসলিম দেশগুলোর খারাপ এবং হতাশাব্যঞ্জক ও অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার চিত্রই ফুটে উঠছে। মুসলমানদের কি ঈমান, মহান আল্লাহর ওপর ভরসা ও তাওয়াক্কুল এবং গাইরৎ ( আত্মমর্যাদা বোধ ) গেল কোথায়?সব উবে গেছে নাকি?!!! কীভাবে কাফির মুশরিক বিধর্মী ইহুদী নাসারা যেমন মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র),যুরা (যুক্তরাজ্য),ফাজুরা (ফ্রান্স)গং মুসলিম ভূখণ্ড দখল করার ধৃষ্টতা দেখায়? সবচেয়ে দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক হচ্ছে যে বিধর্মী গণ কর্তৃক মুসলিম ভূখণ্ড জবর দখলে মুসলমান দেশের সরকারগুলো দখলদার বিধর্মীদের সহযোগী হচ্ছে ও সহযোগিতা করছে!!!!!আর এসব মুসলিম দেশগুলোর মুসলমান জাতিগুলো কী করছে? কিছুই না বরং তারা সবাই এব্যাপারে নির্বিকার ও নিষ্ক্রিয় বসে রয়েছে। তাদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সরকারগুলোকে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ বিরোধী কাজ ও ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা।এজন্য তাদের উচিত প্রচণ্ড বিক্ষোভ,প্রতিবাদ ও তীব্র আন্দোলন করা। কিন্তু কোথায় তারা (এসব মুসলিম জাতি)?!!!!

(ব্যাগ্রাম বিমান ঘাঁটি)


তীব্র প্রতিবাদী আন্দোলন ,কঠোর প্রতিক্রিয়া ও বাধাদান না করলে  তো যিল্লৎ (অপদস্থতা) ও অপমানই হবে মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রতীক্ষমান।
এ সব মুসলিম দেশ যেমন: আফগানিস্তান,পাকিস্তান, তুরস্ক,আযারবাইজান, সৌদি আরব,আরব আমিরাত ইত্যাদি পারে শুধু নিজেদের বিরুদ্ধে অথবা দুর্বল দেশসমূহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও জিহাদ করতে।কিন্তু মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র),যুরা (যুক্তরাজ্য),ফাজুরা (ফ্রান্স) ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মুরোদ হয় না এ সব মুসলিম নামধারী দেশগুলোর।!!!!! বিধর্মী পরাশক্তি মাযুরা ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে যেন এদের জিহাদের জযবা উবে যায় এবং এদের মুসলমানিত্বে ঘাটতি দেখা দেয়!!!!
وَ لَنْ یَجْعَلَ اللّٰهُ لِلْکَافِرِیْنَ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ سَبِیْلَاً
"এবং মহান আল্লাহ কখনই কাফিরদের জন্য মু'মিনদের ওপর (আধিপত্যের) কোন পথ দেন না ( আধিপত্যের বৈধতার বিধান দেন না  ও তা অনুমোদন করেন না) " ---- সূরা-ই নিসা:১৪১) পবিত্র কুরআনের এ আয়াতটি কি মুসলিম দেশ ও জাতিগুলো একদম ভুলে গেছে?!!!
তাই কোনো মুসলিম ব্যক্তি,সমাজ,জনপদ,দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের এমন কোনো কাজ ও কর্মতৎপরতা এবং বিধর্মীদের সাথে এমন কোনো চুক্তি, লেনদেন, ব্যবসায় বাণিজ্য ইত্যাদি করা বৈধ (জায়েয ও হালাল) হবে না যা মুসলমানদের স্বাধীনতা,সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থের পরিপন্থী এবং মুসলিম জাতি,সমাজ,দেশ ও রাষ্ট্রের ওপর কাফির মুশরিক বিধর্মী ইহুদী নাসারাদের আধিপত্য ও কর্তৃত্বের কারণ হবে।এসব কিছু অবৈধ ও হারাম। তাই ব্যাগ্রাম বিমান ঘাঁটি যদি তালেবান সরকার মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) হাতে তুলে দেয় ও অর্পণ করে তাহলে তা যেমন হারাম ও অবৈধ হবে ঠিক তেমনি আক্রমণ করে উক্ত ব্যাগ্রাম ঘাঁটি দখল করতে যদি মাযুরাকে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) পাকিস্তান সরকার সহায়তা ও সাহায্য করে তাহলে সেটাও হারাম হবে।কারণ এর ফলে মুসলিম উম্মাহ,ইসলামী বিশ্ব এবং বহু মুসলিম দেশের ওপর মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামের এক নম্বর অর্থাৎ সবচেয়ে বড় জঘন্য শত্রু হার্বী কাফির (মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত কাফির) দেশ ও পরাশক্তি মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আধিপত্য ও কর্তৃত্ব বিস্তার করতে সক্ষম হবে যা সর্বৈব হারাম ও অবৈধ।
আবার যখনই কোনো মুসলিম ভূখণ্ড ও জনপদ কাফির মুশরিক বিধর্মী ইহুদী নাসারা আক্রমণ ও  জবরদখল করবে তখনই ঐ ভূখণ্ড ও জনপদের অধিবাসীদের যেমন উচিত বরং ধর্মীয় শরয়ী ফরয ও কর্তব্য হচ্ছে এ আয়াত এবং পবিত্র কুরআনের আরো বহু আয়াতের আলোকে দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদ ও সংগ্রাম এবং ঐ অঞ্চল দখলমুক্ত ও আযাদ করা ঠিক তেমনি অন্য সকল মুসলিম দেশ ও জাতির উচিত বরং দ্বীনী শরয়ী ফরয ও কর্তব্য হচ্ছে ঐ মুসলিম জাতিকে তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে সর্বাত্মক সাহায্য এবং কাফির মুশরিক বিধর্মী ইহুদী নাসারা দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা।আর এর অন্যথা হলে সবাই (মুসলমানরা) মহাপাপী ও গোনাহগার হবে। অতএব বিবেকবান জ্ঞানীদের এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা উচিত।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha