হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন, তরুণ প্রজন্মের প্রশ্নের উত্তরে “মধ্যবর্তী তত্ত্বগুলো” (Intermediate Theories) বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
তিনি আরও যোগ করেন: শহীদ মুর্তজা মুতাহারির (রহ.) বিশেষত্ব ছিল এই যে, তিনি ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের ভাণ্ডার থেকে এমন তত্ত্ব উদ্ভাবন করতে পারতেন, যা সমাজের চিন্তাভাবনাকে আলোকিত করত এবং মৌলিক প্রশ্নগুলোর প্রতি পরোক্ষভাবে উত্তর প্রদান করত।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেবল গবেষণা ও তাত্ত্বিক কাজেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, বরং তাদের উচিত এই “মধ্যবর্তী তত্ত্বগুলো” তৈরি ও উপস্থাপন করা।
এটি একটি বড় দায়িত্ব, যেখানে বর্তমানে কিছু দুর্বলতা রয়েছে এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন।
আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন: বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক কাজ শুধু বুদ্ধি, মানসিক দক্ষতা ও পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করে না; এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত উদ্দীপনা ও আবেগের।
এই প্রেরণা ও অনুভূতি জ্ঞানচর্চা এবং দিকনির্দেশনার কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দায়িত্ব পালন ও লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য প্রভাব ফেলে।
ইসলামি বিপ্লবের অন্তর থেকে উদ্ভূত ও জনগণের হৃদয়ের প্রতিষ্ঠান
হাওজা ইলমিয়ার পরিচালক আরও বলেন: জিহাদে দানেশগাহি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা ইসলামি বিপ্লবের গভীর থেকে এবং জনগণের অন্তর থেকে জন্ম নিয়েছে।
এটি জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত এবং এর মধ্যে বহু গুণ, নৈতিকতা ও শ্রেষ্ঠত্ব একত্রিত হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানটি এগুলিকে জিহাদি মনোভাব, সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিরোধের চিন্তার সঙ্গে মিশ্রিত করেছে।
তিনি বলেন: এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে এত মূল্যবান বৈশিষ্ট্য একত্রিত হয়েছে, নিঃসন্দেহে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতার যোগ্য।
জিহাদে দানেশগাহি তাদের এই পরিচয়গত মানদণ্ডের ওপর নির্ভর করে বহু মূল্যবান সাফল্য অর্জন করেছে, যার সঙ্গে আমরা বহুদিন ধরে পরিচিত।
ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা সবসময় এই প্রতিষ্ঠানের পরিচয়মূলক উপাদানগুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন—
যার মধ্যে রয়েছে জ্ঞান ও চিন্তাশীলতা, প্রজ্ঞা ও নৈতিকতা, প্রযুক্তি এবং বিপ্লবী ও জিহাদি চেতনা—
যা এই প্রতিষ্ঠানে সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন: এই বরকতময় পরিচয় অসংখ্য কল্যাণ ও সাফল্যের উৎস।
অতএব, যেসব বিদ্বান ও প্রযুক্তিবিদ এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি স্থাপন এবং এর প্রতি বিশ্বাস গঠনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।
এই মহান ব্যক্তিত্বদের দীর্ঘ তালিকার মধ্যে ড. আলী মনতাজেরি-র বিশেষভাবে প্রশংসা ও ধন্যবাদ প্রাপ্য।
নতুন জ্ঞানের সীমানা উন্মোচন করা—জিহাদ দানেশগাহির দায়িত্ব
শেষে হাওজা ইলমিয়ার পরিচালক বলেন:
জিহাদে দানেশগাহি তাদের বিশাল সাফল্যের মাধ্যমে আজ এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ধারায় এগিয়ে চলা ও নতুন জ্ঞানের দিগন্ত উন্মোচন করা এই প্রতিষ্ঠানের মূল দায়িত্ব।
আল্লাহর ইচ্ছায়, এই সম্মেলন হবে আমাদের ও আপনাদের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সূচনা—
যাতে আমরা জনগণের সেবা ও ইসলামি বিপ্লবের বার্তা প্রচারে বৃহত্তর দায়িত্ব পালনের পথে আরও বড় পদক্ষেপ নিতে পারি।
আপনার কমেন্ট