হাওজা নিউজ এজেন্সি: সোমবার “দক্ষিণ-পূর্ব ইরানে বেসিজ, উন্নয়ন ও টেকসই নিরাপত্তা” বিষয়ক সম্মেলনের বৈজ্ঞানিক কমিটির ষষ্ঠ অধিবেশনে তিনি বলেন, ইরানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বর্তমানে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গেছে।
জেনারেল সাফাভি বলেন, “আজ বিশ্ব একটি নতুন ধরনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত—যাকে আমরা ‘করিডোর যুদ্ধ’ বলি; এই প্রতিযোগিতা গড়ে উঠেছে রেলপথ, সামুদ্রিক পথ ও পরিবহন করিডোর নিয়েই।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এই অঙ্গনে কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং দৃঢ় সামগ্রিক নিরাপত্তা থাকা দেশগুলো হবে প্রধান খেলোয়াড়।”
জেনারেল সাফাভি দাবি করেন, “করিডোর যুদ্ধ মূলত পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে এক সভ্যতাগত প্রতিযোগিতার প্রতিফলন; আর ইরান, যে অবস্থানটি পূর্ব-ও-পশ্চিম এবং উত্তর-ও-দক্ষিণ দু’দিকই সংযুক্ত করে, তা আঞ্চলিক শক্তি ভারসাম্যের একটি নতুন অক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হবে।”
ইরানের বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে একটি অনন্য ট্রানজিট কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে—উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম আন্তর্জাতিক করিডোর বরাবর পশ্চিম এশিয়াকে পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করছে।
ইরানের রেল নেটওয়ার্ক পশ্চিমে তুরস্ক ও ইউরোপের সঙ্গে; উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজানের সঙ্গে; উত্তরে ক্যাস্পিয়ান সাগর, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান, আজারবাইজান ও রাশিয়ার সঙ্গে; উত্তর-পূর্বে তুর্কমেনিস্তান, মধ্য এশিয়া, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে; দক্ষিণ-পূর্বে পাকিস্তানের সঙ্গে; এবং দক্ষিণে পারস্য উপসাগর ও আন্তর্জাতিক নৌপথের সঙ্গে সংযুক্ত।
মেজর জেনারেল সাফাভি বলেন, ভূ-রাজনীতি ও নিরাপত্তার এই নতুন বাস্তবতায় “করিডোর যুদ্ধ” ইরানের জন্য কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আপনার কমেন্ট