মঙ্গলবার ২৮ অক্টোবর ২০২৫ - ১৫:৫৪
যদি অনিচ্ছাকৃতভাবেও তোমার দৃষ্টি নামাহরামের দিকে পড়ে, সেজন্যও তুমি দায়ী!

আল্লাহপ্রেমিক আরিফ ও পরহেজগার আলেম আয়াতুল্লাহ নখুদকি এসফাহানি (রহ.) জীবনের শেষ প্রহরে দৃষ্টি সংযম বা নজর হিফাযত সম্পর্কে এক গভীর আধ্যাত্মিক বার্তা রেখে গিয়েছিলেন। তাঁর শেষ দিনগুলোর একটি ঘটনা আমাদের জন্য চিরন্তন শিক্ষা হয়ে আছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: মরহুম আয়াতুল্লাহ নখুদকি ইসফাহানির (রহ.) পুত্র বলেন, “চিকিৎসকদের পরামর্শে আমার পিতাকে মাশহাদের ‘মনৎসারিয়্যা’ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

একদিন হাসপাতালে যাওয়ার পথে আমার চোখ পড়ে একটি ঘোড়ার গাড়ির (দোরোশকে)-এর দিকে, যেখানে এক পুরুষ ও এক বেহিজাবি ও অশালীন পোশাকের নারী বসে ছিলেন। হাসপাতালে পৌঁছে যখন পিতার সেবায় উপস্থিত হলাম, তিনি আমাকে দেখেই বললেন,

‘আমাদের বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে; কিন্তু তুমি কেন তোমার চোখ সংযত রাখোনি?’

আমি বললাম: ‘বাবা! আমি তো ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ভুল করিনি।’
তিনি উত্তর দিলেন, ‘আমি জানি তুমি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকাওনি; কিন্তু যখন জানো যে পথে এমন দৃশ্য থাকতে পারে, তখন কেন সেই দোরোশকার ভেতরে তাকালে, যাতে তোমার দৃষ্টি নামাহরামের ওপর পড়ে?’”

[গ্রন্থ— “নিশান আজ বি-নিশান’হা” (نشان از بی‌نشان‌ها)]

শিক্ষা ও বার্তা: দৃষ্টির হিফাজত বা দৃষ্টি সংযম ইসলামী আখলাকের একটি মৌলিক স্তম্ভ। একজন মুমিনের জন্য এটি কেবল শারীরিক সতর্কতা নয়, বরং আত্মার পবিত্রতারও রক্ষাকবচ।

ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত, এক মুহূর্তের অসতর্ক দৃষ্টি হৃদয়ের আলোকে ম্লান করতে পারে। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা তাই সর্বদা তাঁদের দৃষ্টি, চিন্তা ও হৃদয়কে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করেন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha