মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর ২০২৫ - ১০:০৮
কোমের সাবেক বাংলাদেশি তালিবুল ইলমদের জন্য অনলাইন ইসলামী শিক্ষা কর্মসূচি শুরু

বাংলাদেশে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি কার্যালয় কোমের হাওজায়ে ইলমিয়ায় শিক্ষালাভ শেষে দেশে ফিরে যাওয়া বাংলাদেশি তালিবে-ইলমদের সঙ্গে ধারাবাহিক শিক্ষাগত যোগাযোগ বজায় রাখা এবং তাদের একাডেমিক দক্ষতা উন্নত করার উদ্দেশ্যে অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষা কর্মসূচি শুরু করেছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো— দেশে ফিরে যাওয়া কোম হাওজায়ে ইলমিয়ার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর তালিবে-ইলমদের পুনরায় পাঠ্য, গবেষণা ও একাডেমিক পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত রাখা এবং তাদেরকে হাওজাভিত্তিক জ্ঞানচর্চার ধারায় সক্রিয় রাখা। এ জন্য বাংলাদেশের ধর্মীয় সমাজের প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ সুনির্দিষ্টভাবে বিশ্লেষণ করে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেসব বিষয়ে পাঠদানের জন্য হাওজার বিশিষ্ট ও অভিজ্ঞ উস্তাদদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

হাওজায়ে ইলমিয়া কোম থেকে পড়াশোনা করে দেশে ফেরা সকল তালিবে-ইলমদের জন্য এই কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই ধারাবাহিক অনলাইন কোর্সগুলোর প্রথম কোর্সটির শিরোনাম— “কুরআনিক ধারণাসমূহ: সংশয় নিরসন ও কুরআন-সংক্রান্ত সন্দেহের মোকাবিলার পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গি”।

বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই কোর্সটি পরিচালনা করছেন হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন রুস্তম-নেজাদ, যিনি ইরানের হজ ও জিয়ারত গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি, হাওজায়ে ইলমিয়ার সাবেক শিক্ষা বিষয়ক উপপরিচালক এবং আল-মোস্তফা (সা.) আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

এই কোর্সটি ১০টি সেশনে বিন্যস্ত, যা প্রতি সপ্তাহে তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশি তালিবে-ইলমরা ব্যাপক আগ্রহের সঙ্গে এই ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে।

বাংলাদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি দফতর জানিয়েছে যে, এই অনলাইনগুলো ক্লাস রেকর্ড করা হচ্ছে এবং সম্পাদনা শেষে অংশগ্রহণকারীদের জন্য অডিও, ভিডিও ও লিখিত নোট আকারে সরবরাহ করা হবে। কোর্স শেষে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক তালিবে-ইলমের কাছ থেকে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এছাড়া, আগামী সপ্তাহগুলোতে দ্বিতীয় কোর্স হিসেবে হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন তৌহিদি’র তত্ত্বাবধানে “বাংলাদেশে আখবারি ধারার (اخباری‌گری) সংশয়সমূহ” শীর্ষক দ্বিতীয় শিক্ষা পর্ব শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের তালিবুল ইলমরা পাঠ্য ও গবেষণামূলক ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ পাচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে দেশের ধর্মীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha