শনিবার ৮ নভেম্বর ২০২৫ - ০৯:২৪
হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.): হযরত আলী (আ.)-এর ত্যাগ ও সাহসের বর্ণনা

হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ (সা.) এর বরকতের মাধ্যমে মানুষকে অন্ধকার ও বিপদ থেকে মুক্ত করেছেন। এই রাসুল শত্রুদের সামনে দৃঢ় থাকতেন এবং হযরত আলী (আ)-কে পাঠাতেন, যেন তিনি ঈমানের তলোয়ারের মাধ্যমে ফিতনা-এর আগুন নেভান।হযরত আলী (আ) আল্লাহর পথে কোনো ত্যাগ থেকে বিরত থাকতেন না।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) এর বাণী হযরত আয়াতুল্লাহ মিসবাহের বক্তৃতার অংশ, যা খুতবা ফাদাকিয়াহ সম্পর্কিত।

ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) বলেন, “আল্লাহ আপনাদেরকে আমার পিতার—রাসুলুল্লাহ (সা.)—বরকতের মাধ্যমে বিপদ ও কঠিন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেছেন।” এই বাণী বোঝায়, বহু বিপদ ও সমস্যার মধ্য দিয়ে মুক্তি পাওয়া যায়, তবে তা সহজে আসে না।

তিনি আরও বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেন, তখন অনেক কষ্ট ও ঝুঁকি সহ্য করতে হয়েছিল।”

ফাতিমা (সা.আ.) উদাহরণ দেন, বহু যুদ্ধরত পুরুষ ও শত্রু রাসুল (সা.) এর পথে দাঁড়িয়ে লড়াই করতেন। পাশাপাশি আরবদের দুষ্ট প্রকৃতি ও কিছু উপদ্রবকারী আহলুল কিতাব—মুখে বিপদ নিয়ে—রাসুল (সা.) এর পথে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই শত্রুতার মুখে দাঁড়িয়ে রাসুল (সা.) হযরত আলী (আ.)-কে পাঠাতেন, যেন তিনি বিপদ মোকাবেলা করে মানুষকে রক্ষা করেন।

তিনি বলেন, “হযরত আলী (আ.) শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ে কখনো পিছপা হননি। তিনি তাদেরকে নিজের পায়ের তলায় চাপা দিয়ে ধ্বংস করতেন এবং শত্রুর আগুন নেভাতেন তার তলোয়ার দিয়ে।”

ফাতিমা (সা.আ.) আরও বলেন, “মাকদুদ ফি যাতুল্লাহ”—অর্থাৎ, হযরত আলী (আ.) যখন আল্লাহর পথে কোনো দায়িত্ব পালন করতেন, তিনি কোনো দেরি বা ঝুঁকি এড়িয়ে যেতেন না। তিনি সর্বশক্তি নিয়োগ করতেন, প্রতিটি কষ্ট সহ্য করতেন এবং আল্লাহর পথে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেন।”

ইসলামের বিভিন্ন সূত্রে—শিয়া ও সুন্নি হাদিসে উল্লেখ আছে—হযরত আলী (আ.) আল্লাহর পথে দৃঢ় ও অটল ছিলেন। এখানে হযরত ফাতিমা (সা.আ.) বলেছেন যে আলী (আ.)-এর প্রতিটি কাজই আল্লাহর উদ্দেশ্যে এবং তিনি সর্বদা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করতেন।

শুধু কথার মাধ্যমে নয়, বাস্তব প্রয়োগে হযরত আলী (আ.) সবসময় দায়িত্ব পালনের সাহস দেখাতেন, যেকোনো শত্রু বা বিপদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতেন এবং মানুষকে রক্ষা করতেন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha