হাওজা নিউজ এজেন্সি: যখন হৃদয়গুলো একে অপরের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়, তখন তারা দ্রুত মানসিক ও আত্মিকভাবে একে অপরের কাছে আসে। সহমর্মিতা এবং আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ছোট ছোট মুহূর্তের মধ্য দিয়ে—যেমন একসাথে খাওয়া, বিশ্রাম নেওয়া বা দৈনন্দিন কাজগুলো ভাগাভাগি করা।
দম্পতিদের উচিত একে অপরের প্রতি সংবেদনশীল থাকা এবং পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে সময়ের বড় একটি অংশ একসাথে কাটানো। পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সময়মতো শোনার সুযোগ দেওয়া, অনুভূতিগুলো ভাগ করা এবং ছোটখাটো সহায়তামূলক কাজের মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করা সম্ভব।
পরিবারের বন্ধুত্ব, ঘনিষ্ঠতা ও সমঝোতা ধরে রাখতে দৈনন্দিন পরিকল্পনা করা অপরিহার্য। এতে করে শুধু সম্পর্কই মজবুত হবে না, বরং সন্তানদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে। একসাথে থাকার সময় তৈরি হওয়া স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা পারস্পরিক আস্থা ও নিরাপত্তার বোধ বৃদ্ধি করে, যা পরিবারকে একটি শক্তিশালী সামাজিক এবং মানসিক ভিত্তিতে দাঁড় করায়।
পরিবারে সহমর্মিতা এবং একসাথে সময় কাটানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি কোনো একবারের প্রচেষ্টায় অর্জিত হয় না, বরং ধারাবাহিক মনোযোগ, ধৈর্য এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া প্রয়োজন। একজন স্বামী ও স্ত্রীকে একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে, ছোটখাটো অসুবিধা বা বিরোধের সময় সহমর্মিতা দেখাতে হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্কের মান বৃদ্ধি করতে হবে।
উৎস: ‘নারী ও পরিবার’, হযরত আয়াতুল্লাহ আল-উজমা খামেনেয়ি এর সংরক্ষিত লেখাসমূহ, পৃষ্ঠা ১১১।
আপনার কমেন্ট