হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রখ্যাত হাদিসগ্রন্থ আল-কাফি-এর প্রথম খণ্ডের (পৃষ্ঠা ৪, ৫ ও ৮) বর্ণনা অনুযায়ী, ইমাম হাসান আসকারি (আ.) থেকে একটি সহিহ হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, নিশ্চয়ই ফাতিমা (সা.) একজন সিদ্দিকা (সত্যবাদিনী) এবং শাহিদা (শহিদা)।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.) কেবল সত্যবাদিনীই নন, বরং শহিদার মর্যাদায়ও অধিষ্ঠিত ছিলেন।
আল্লামা মজলেসি (রহ.) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ মিরআতুল উকুল (আল-কাফির ব্যাখ্যা, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩১৫)-এ এই হাদিসকে সহিহ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, ইমাম মূসা কাজিম (আ.)-এর হাদিসেও এ বিষয়টির সমর্থন পাওয়া যায়, যা ফাতিমা যাহরার (সা.) শাহাদতের সত্যতা আরও সুদৃঢ় করে।
আল্লামা মাজলেসি লিখেছেন, এই হাদিসগুলো মুতাওয়াতির, অর্থাৎ বহু নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত ও প্রমাণিত।
এমনকি বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ইবনে তায়মিয়াও স্বীকার করেছে যে, যে ব্যক্তি মুতাওয়াতির হাদিস অস্বীকার করে, সে কুফরি করে।
অতএব, ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.)-এর শাহাদত একটি স্পষ্ট, নির্ভরযোগ্য ও প্রমাণিত ঐতিহাসিক সত্য।
প্রখ্যাত আলেম মরহুম মুহাম্মদ তাকী মাজলেসি তাঁর রাওজাতুল মুত্তাকিন (খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১৪২)-এ উল্লেখ করেছেন যে, ইমাম মূসা কাজিম (আ.) থেকে সহিহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, নিশ্চয়ই ফাতিমা (সা.) সিদ্দিকা ও শাহিদা।
তিনি আরও যোগ করেন, হযরত ফাতিমা (সা.)-এর শাহাদতের বিষয়টি সুন্নি ও শিয়া উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সুপরিচিত।
এ প্রসঙ্গে সুন্নি গ্রন্থ ফারাইদুস সিমতাইন (খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৪)-এও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে: ফাতিমা যাহরা (সা.) আমার কাছে আসবেন, যখন তিনি দুঃখিত, কষ্টভোগী, তাঁর অধিকার হরণ করা হয়েছে এবং তিনি শাহিদা (শহিদা) হয়েছেন।
এ সকল নির্ভরযোগ্য বর্ণনা প্রমাণ করে যে, হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.)-এর শাহাদত কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, বরং এটি ইসলামী সূত্রে মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত এক আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক সত্য।
রিপোর্ট: হাসান রেজা
আপনার কমেন্ট