হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি নাগরিক ও অভিবাসী বিষয়ক কেন্দ্রের প্রধান ও তাঁর সঙ্গী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতে আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন: অভিবাসন একটি বিস্তৃত ও বহু-মাত্রিক বিষয়। এর নৈতিক ও মানবিক দিক ছাড়াও এটি জাতীয়, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক দিক বহন করে। তাই সরকার ও সংসদকে এই সমস্ত বিষয়কে সামগ্রিক ও সমন্বিতভাবে বিবেচনা করতে হবে।
আরাফি আরও বলেন: এমন জটিল বিষয়গুলোতে ইরান ও ইসলামী বিপ্লবের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। প্রতিটি পদক্ষেপে সমষ্টিগত বুদ্ধি, জাতীয় সংকল্প ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত, যাতে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ইসলামী ইরানের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকে।
তিনি সাম্প্রতিক আঞ্চলিক ঘটনাবলির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন: যেভাবে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানের চিন্তাগত ও আধ্যাত্মিক ওজন বৈশ্বিক সমীকরণে বেড়েছে, তেমনি অভিবাসন বিষয়েও আমাদের সিদ্ধান্তগুলোকে দেশের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও বিপ্লবী অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
হাওজা ইলমিয়ার উচ্চ পরিষদের সদস্য আরও বলেন: যেন বৈধ বিদেশি নাগরিকরা সঠিকভাবে আমাদের সমাজের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেন এবং কোনো সাংস্কৃতিক বা সামাজিক বিশৃঙ্খলা না ঘটে — এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
শুরা-ই নেগাহবানের ফকীহ সদস্য আরাফি বলেন: অভিবাসী মেধাবীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি একটি জটিল ও কঠিন কাজ, যা নির্ভুল পরিকল্পনা দাবি করে। অভিবাসীদের মধ্যে মেধাবী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদেরকে সমর্থন দিতে হবে, যাতে তারা সঠিক পথে টিকে থাকতে পারেন।
তিনি আরও যোগ করেন: ইসলামী বিপ্লবের দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের অভিবাসীদের ধর্মীয় ও নৈতিক পরিচয় সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কর্মসূচি প্রণয়ন করা উচিত, যাতে তারা সমাজে ইতিবাচক ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
আপনার কমেন্ট