রবিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৫ - ২১:১৩
যে গুনাহ নবী করিম (সা.)-এর দুআ সত্ত্বেও ক্ষমা করা করা হবে না

এমন এক গুনাহ রয়েছে—যার জন্য যদি রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেই সত্তরবার ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তবুও আল্লাহ তা ক্ষমা করেন না।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: হযরত জয়নাব (সা.আ.)-এর ভাষায়: “শাম ছিল কারবালার চেয়েও কঠিন।” কারবালায় তাঁদের রক্ত ঝরানো হয়েছিল, আর শামে তাঁদের সম্মান ও মানবিক মর্যাদা লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। আর এই মর্যাদাহানি—আল্লাহর কাছে এমন অপরাধ, যার ক্ষমা পাওয়া অত্যন্ত কঠিন।

প্রখ্যাত আলেম হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন মোহসেন ক্বারাআতী তাঁর এক বক্তব্যে “অপমান— এক ক্ষমাহীন গুনাহ” শিরোনামে উল্লেখ করেন, আজ আমরা খুব সহজেই কাউকে কটূক্তি করি, উপহাস করি, হেয় করি। কিছু গুনাহ আছে— যার জন্য আমরা যদি আন্তরিকভাবে বলি, “হে আল্লাহ, আমাদের ক্ষমা করুন”, আল্লাহ তা ক্ষমা করে দেন। আবার এমন কিছু গুনাহ আছে, যার জন্য শুধু মুখে “ক্ষমা করুন” বলা যথেষ্ট নয়।

হ্যাঁ, নবী করিম (সা.) কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে শাফায়াত করলে সাধারণত আল্লাহ তা কবুল করেন। কিন্তু কুরআনের এক আয়াতে স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে—
কিছু গুনাহ আছে, যেগুলোর জন্য নবী (সা.) সত্তরবারও ক্ষমা প্রার্থনা করলে, আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন না।

কোন সেই গুনাহ— যা নবীর দুআয়ও ক্ষমাযোগ্য হয় না?

হুজ্জাতুল ইসলাম ক্বারাআতী বলেন, হযরত জয়নাব (সা.আ.)-এর বাণীতে এর ইঙ্গিত রয়েছে: “কারবালায় আমাদের রক্ত ঝরানো হয়েছিল, কিন্তু শামে আমাদের অপমান করা হয়েছিল।” রক্ত ঝরানো নিঃসন্দেহে বড় জুলুম, কিন্তু মানবিক মর্যাদাহানি আরও ভয়াবহ অপরাধ।

শিক্ষা
• কাউকে অপমান বা হেয় করা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুতর গুনাহ।
• মানবিক সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা ঈমানের অংশ।
• কারও অনুভূতিকে তুচ্ছ করা বা তার সম্মান ভঙ্গ করা এমন অপরাধ—যার শাস্তি অত্যন্ত কঠিন।

সুতরাং, আমাদের উচিত—
• বিনয়ী থাকা,
• কারও সম্মানহানি না করা,
• এবং মানুষের মর্যাদা রক্ষা করা।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha