হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরানের প্রখ্যাত দারসে আখলাকের শিক্ষক মরহুম আয়াতুল্লাহ আজিজুল্লাহ খুশওয়াকত (রহ.) তাঁর একটি আখলাক পাঠে “অপছন্দনীয় অভ্যাস ত্যাগের উপযুক্ত পদ্ধতি” বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তাঁর বক্তব্যের সংগৃহীত অংশ নিচে তুলে ধরা হলো:
অপছন্দনীয় অভ্যাস ত্যাগের পদ্ধতিগুলো কী?
আয়াতুল্লাহ খুশওয়াকত বলেন, মানুষের প্রতি আল্লাহর অন্যতম অনুগ্রহ হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তি প্রদান করা।
মানুষ চাইলে এই শক্তির ব্যবহারেই নিজের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে—যেমন মিথ্যা না বলা, চুরি না করা অথবা যেকোনো অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকা।
১. প্রথম ধাপ, নিজের অন্তরের ইচ্ছাশক্তি ও সিদ্ধান্তকে সক্রিয় করা: যদি কেউ নিজে সিদ্ধান্ত না নেয়, নিজের বদ-অভ্যাস ত্যাগ করতে না চায়, তাহলে কোনো বহিরাগত উপদেশ বা পদ্ধতিই তার ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।
আল্লাহ মানুষের ওপর কর্তব্য আরোপের আগেই তাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন—এ ক্ষমতা সঠিকভাবে ব্যবহার করাই পরিবর্তনের প্রথম শর্ত।
২. দ্বিতীয় ধাপ, আল্লাহর আনুগত্যে অবিচল থাকা ও সৎকর্মে ধারাবাহিকতা: অপছন্দনীয় অভ্যাস ত্যাগ করতে হলে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলা এবং সৎকর্মে স্থির থাকা অত্যন্ত জরুরি।
যত বেশি একজন মানুষ আল্লাহর আনুগত্যে দৃঢ় থাকে, তার আচরণ সংশোধন তত সহজ হয়। বিপরীতে, যারা আনুগত্যে দুর্বল, তারা সাধারণত খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে ব্যর্থ হয়।
৩. তৃতীয় ধাপ, নিয়মিত আত্মসংশোধনের প্রচেষ্টা ও ব্যক্তিগত জিহাদ: পরিবর্তন একদিনে আসে না; নিয়মিত আত্মসমালোচনা, সচেতনতা ও অধ্যবসায় ছাড়া বদ-অভ্যাস দূর করা সম্ভব নয়। অবিরাম চেষ্টা ও ধৈর্যই স্থায়ী সংশোধনের চাবিকাঠি।
এই তিনটি নীতি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করলে বদ-অভ্যাস পরিত্যাগ এবং ব্যক্তিত্বের নৈতিক উন্নয়ন সহজ ও সম্ভবপর হয়ে ওঠে।
আপনার কমেন্ট