হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)–এর পবিত্র জন্মদিবস উপলক্ষে এবং হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মোহাম্মদ বাকির তুসী সাহেবের উদ্যোগে গতকাল একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়, যা সম্পূর্ণভাবে সমাজসেবা ও মানবকল্যাণকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়। এই শিবিরে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং মানবতার খিদমতকে লক্ষ্য রেখে রক্তদান করেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রক্তদান শিবিরটির উদ্দেশ্য শুধু একটি স্মরণোৎসব নয়, বরং হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)–এর দয়া, মানবিকতা ও সেবামূলক জীবনের অনুসরণে বাস্তব সেবা পৌঁছে দেওয়া। তাঁরা বলেন, সমাজে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী—বিশেষত সার্জারি, দুর্ঘটনা বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষ—রক্তের অভাবে কষ্ট পান। এই শিবিরে সংগৃহীত রক্ত সরাসরি সেই দুর্গত ও প্রয়োজনীয় মানুষের কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
রক্তদানকারীরা জানান, আজকের এই উদ্যোগ তাঁদের জন্য গর্বের বিষয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)–এর জন্মদিবসকে সেবামূলক কাজে রূপান্তর করা তাঁর চরিত্রের সঙ্গে সর্বাধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ তাঁর জীবন ছিল দান, সহমর্মিতা ও মানবতার প্রতীক।
শিবিরে উপস্থিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, মানুষের জীবন রক্ষার সবচেয়ে উত্তম এবং সহজ উপায় হলো রক্তদান। একটি ব্যাগ রক্ত একাধিক রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে। তাই সমাজের সকল মানুষের রক্তদানের প্রতি এগিয়ে আসা উচিত।
আয়োজক কমিটি আরও জানায়, এই উদ্যোগকে প্রতি বছর আরও বৃহত্তর পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে সমাজের আরও বেশি মানুষ উপকৃত হতে পারে। তাঁদের মতে—“মানবতার খিদমতই হলো হজরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)–এর প্রকৃত জন্মদিবস উদযাপন।”
স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি, উচ্ছ্বাস ও সচেতনতা শিবিরটিকে সফল করে তোলে। রক্তদান শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র ও স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চেকআপও প্রদান করা হয়।
এই উদ্যোগকে এলাকাবাসী ‘মানবতার প্রকৃত পরিচয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন সেবামূলক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আপনার কমেন্ট