রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ - ১৫:০২
মাদ্রাসা ইলমিয়া সিদ্দিকা তাহিরা (সা.) নোশেহরের সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রধান রুকাইয়া দেহকান

হাওজা / মাদ্রাসা ইলমিয়া সিদ্দিকা তাহিরা (সা.) নোশেহরের সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রধান রুকাইয়া দেহকান বলেছেন, শান্তি ও নিরাপত্তা যে কোনো সমাজের মৌলিক প্রয়োজন এবং সমস্ত উন্নতি ও অগ্রগতির ভিত্তি।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মাদ্রাসা ইলমিয়া সিদ্দিকা তাহিরা (সা.) নোশেহরের সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান রুকাইয়া দেহকান ইমাম খোমেইনি (রহ.) নৌবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও তাদের পরিবারদের সাথে একটি জ্ঞানমূলক সভায় বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, কুরআনের আলোকে পরিবারের স্থিতিশীলতা এবং সুরক্ষার নীতিগুলোকে তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি প্রতিটি সমাজের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম। এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক উন্নতির পথ প্রশস্ত করে।

কুরআন ও হাদিসের প্রেক্ষাপটে শান্তি ও নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন: আল্লাহ তাআলা কুরআনে শান্তিকে তাঁর অন্যতম মূল্যবান নিয়ামত বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন তিনি বলেন:

"وَآمَنَهُمْ مِّنْ خَوْفٍ"

(অর্থাৎ, আল্লাহ তাদের ভয় থেকে রক্ষা করেছেন)।

তিনি আরও বলেন, যদি সমাজে শান্তি না থাকে, তবে মানুষের ঈমানও বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।

রুকাইয়া দেহকান বলেন, আমিরুল মুমিনিন হজরত আলী (আ.) বলেছেন, "শান্তি ও শারীরিক সুস্থতা পৃথিবীর দুটি বড় নিয়ামত।" এই বাণীগুলো শান্তি ও নিরাপত্তার অপরিহার্যতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন: বিপ্লবী নেতা-এর বাণী অনুযায়ী, শান্তি যে কোনো সমাজের জন্য অক্সিজেনের মতো অপরিহার্য। একটি উন্নয়নশীল জাতির ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হলো তার নিরাপত্তা হরণ করা। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তাশীল কাজ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিক্ষামূলক কাঠামো সবই শান্তির ওপর নির্ভরশীল।

যদি নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি সৃষ্টি হয়, তবে দেশ ধ্বংস হয়ে যায় এবং উন্নতির আর কোনো সম্ভাবনা থাকে না।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha