সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - ০৯:৫৯
বাহরামী

হাওজা / ইসলামী বিপ্লব পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় আরও গতিশীলভাবে উন্নতি, উৎকর্ষ ও বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ ও স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী বিপ্লবের প্রচার ও জনসংযোগ বিভাগের উপপ্রধান বলেছেন, ইসলামী বিপ্লব পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় আরও গতিশীলভাবে উন্নতি, উৎকর্ষ ও বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ ও স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

ইসলামী বিপ্লব: জাতির গৌরব ও স্বাধীনতার প্রতীক

তেহরান থেকে হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ বাহরামী, ইসলামী বিপ্লবের ৪৬তম বার্ষিকী এবং শাবান মাসের পবিত্র আনন্দময় দিবস উপলক্ষে ব্যাংক এক্সপোর্ট সেন্ট্রালের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন:

আমরা সকলেই এই বিপ্লবকে রক্ষা করার দায়িত্বে আছি, কারণ এটি আমাদের জাতিকে সম্মান, মর্যাদা ও স্বাধীনতা প্রদান করেছে।

তিনি বলেন, আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত স্মরণ করাই মানবজীবনের উন্নতির অন্যতম মাধ্যম। মহান আল্লাহ ও নবী-রাসুলগণ এই শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন, কারণ এটি মানুষকে কৃতজ্ঞ রাখে, উদাসীনতা থেকে দূরে রাখে এবং আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করে। তাই আমাদের উচিত ইসলামী বিপ্লবের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, কারণ এটি আমাদের অন্যতম মহৎ নেয়ামত।

৪৬ বছরের সফলতা: শত্রুদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও অগ্রগতি

বাহরামী বলেন,

গত ৪৬ বছরে, অসংখ্য হুমকি, নিষেধাজ্ঞা ও শত্রুতার পরও, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এমন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে যা বন্ধু ও শত্রু উভয়কেই বিস্মিত করেছে। আজ, ইসলামী বিপ্লবের বরকতে, ইরান অঞ্চলটির অন্যতম উন্নত ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামী বিপ্লবের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন হলো বিপ্লবী ও প্রভাবশালী তরুণদের গড়ে তোলা। তিনি বলেন,

আজ আমরা জাতীয় ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে তরুণদের বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করি। বিশেষত, ইতিকাফ, আরবাইনের পদযাত্রা এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতীয় আয়োজনে তাদের গভীর উৎসাহ ও আধ্যাত্মিক আবেগ আমাদের দেখিয়ে দেয় যে এই যুবকরাই ইসলামী ইরানের ভবিষ্যৎ নির্মাতা।

বিশ্বের অন্যান্য বিপ্লবের তুলনায় ইসলামী বিপ্লবের অনন্য বৈশিষ্ট্য

তিনি বলেন,

বিশ্বের অন্যান্য বিপ্লবগুলোর তুলনায় ইসলামী বিপ্লব টিকে আছে এবং আরও বিকশিত হয়েছে, এর পেছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে—
১️⃣ ইসলামী আদর্শ ও মতাদর্শ
২️⃣ ঐশী নেতৃত্ব
৩️⃣ জনগণের সম্পৃক্ততা।
এই তিনটি উপাদান কেবল বিপ্লবের সূচনা করতেই সাহায্য করেনি, বরং এটি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী রাখারও কারণ হয়ে উঠেছে।

নেতৃত্বের শক্তি: শত্রুদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা

তিনি বলেন,

আমাদের প্রজ্ঞাবান ও সম্মানিত নেতা শুধুমাত্র একটি ভাষণ দিয়েই শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে পারেন। তাঁর বিচক্ষণ ও সম্মানজনক নেতৃত্ব দেশকে প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মুখে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়েছে। আজ, তাঁর দৃঢ় কৌশল ও আদর্শের কারণে, ইরান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন,

আমাদের নেতার নীতি ও পথচলা ঠিক সেই আদর্শেরই প্রতিফলন যা আমাদের মহান ইমাম খোমেনি (রহ.) রেখে গেছেন।

বিপ্লবের সংগ্রাম: শয়তানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ

তিনি বলেন,

এই বিপ্লব যেহেতু আল্লাহর নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাই এটি সবসময় শয়তানদের মুখোমুখি হবে। যেহেতু এটি মজলুম ও নির্যাতিতদের পক্ষ নিয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই এটি সবসময় স্বৈরশাসকদের, দমনকারীদের এবং ঔদ্ধত্যপরায়ণ শক্তিগুলোর বিরোধিতার সম্মুখীন হবে। তবে জেনে রাখুন, ভবিষ্যৎ হলো মজলুমদের, দুঃখী ও নিপীড়িত মানুষের, কারণ এটি আল্লাহর প্রতিশ্রুতি।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha