হাওজা নিউজ এজেন্সি: হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমলী একটি লিখিত বিবৃতিতে “ইস্তেখারা” বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন:
ইস্তিখারা দুই ধরনের:
১. একটি হলো বিশেষ ইস্তেখারার দোয়া, যা প্রকৃতপক্ষে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোকময়। এটি সহিফায়ে সাজ্জাদিয়ায় বর্ণিত হয়েছে। যখন কেউ কোনো কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়, এমনকি যদি তা বাহ্যিকভাবে ভালো মনে হয়, তবুও তার প্রকৃত ভালোটি আল্লাহর কাছে চাওয়া উচিত। সাত-পাঁচ না ভেবে সরাসরি কাজে ঝাঁপিয়ে না পড়া একটি কঠোর ইসলামী নির্দেশ এবং আমাদের সুন্নতের অংশ। এটি একটি অত্যন্ত উত্তম কাজ। এই ইস্তেখারার দোয়া হলো খায়ের (কল্যাণ) চাওয়া, অর্থাৎ বলা: "হে আল্লাহ! আমি এই কাজটি চিন্তা করেছি এবং দেখেছি যে বাহ্যিকভাবে এটি মঙ্গলজনক। আমি এটি করতে যাচ্ছি, কিন্তু আমি এর পরিণতি বা এর সঙ্গে জড়িত সঙ্গীদের সম্পর্কে জানি না। তুমি এই কাজে আমার জন্য খায়ের (কল্যাণ) নির্ধারণ করো।” এটি হলো ইস্তেখারা, অর্থাৎ কল্যাণ চাওয়া।
২. তবে যে ইস্তেখারা মানুষ চিন্তা করা, পরামর্শ করা বা মূল্যায়ন করার আগেই অবিলম্বে কুরআনের মাধ্যমে করে, সেটি করার জন্য আমাদেরকে একদমই নির্দেশ দেওয়া হয়নি। অবশ্য, যখন মানুষ সত্যিই দ্বিধাগ্রস্ত হয় এবং কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে না, তখন এটি অনন্য একটি পথ। তবে শুরুতে ইস্তেখারা করার নির্দেশ দেওয়া হয় না।
সুতরাং তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ:
১. ইস্তিখারার দোয়া যেন আমরা কখনো ভুলে না যাই।
২. প্রতিটি সিদ্ধান্তের আগে চিন্তা, গভীর বিবেচনা, পরামর্শ এবং মূল্যায়ন করা।
৩. যদি আমরা সত্যিই দ্বিধাগ্রস্ত হই এবং বুঝতে না পারি যে কোন কাজটি আমাদের জন্য সঠিক বা অনুচিত, তখন আমরা সেই কাজটি কুরআনের মাধ্যমে ইস্তেখারা করতে পারি।
দারসে আখলাক তথা নৈতিকতা শিক্ষা ক্লাস, ১৪/০৯/১৩৮৭ (ফর্সি সাল)
আপনার কমেন্ট