হাওজা নিউজ এজেন্সি: সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেন, “দুই-রাষ্ট্র পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার ও আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সুরক্ষিত করতে সক্ষম হবে না। ফিলিস্তিনের প্রতি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সরকার ও জনগণের সমর্থন অবিচল এবং আমাদের এই অঙ্গীকার কখনই দুর্বল হবে না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম ও তাদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি ইরানের সমর্থন দীর্ঘদিনের এবং এটি কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অপরিহার্য।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইরানের অবস্থান স্পষ্ট: ইরান ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরোধিতা করে। ইরান ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়ে আসছে।
ওআইসি'র এই জরুরি বৈঠক ফিলিস্তিনে চলমান সংকট ও ইসরায়েলের আগ্রাসন মোকাবিলায় মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইরানের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বার্তা দিয়েছে যে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামে ইরান তাদের পাশে থাকবে।
এই প্রসঙ্গে, বিশ্লেষকরা মনে করেন যে ইরানের এই অবস্থান ফিলিস্তিন ইস্যুতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইরানের এই অঙ্গীকার আঞ্চলিক রাজনীতিতে ইরানের ভূমিকা ও প্রভাবকে আরও জোরালো করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, 'দুই রাষ্ট্র' পরিকল্পনার বিকল্প কী হতে পারে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো প্রস্তাবনা দেয়া হয়নি।
আপনার কমেন্ট