হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হাসান আলে তয়্যিব (রহমতুল্লাহি আলাইহি):
সেইর ও সুলুক এর পথে, বাকি‘র ইমামগণের (আলাইহিমুস সালাম) প্রতি তাওয়াস্সুল (আধ্যাত্মিক সম্পর্ক ও আশ্রয়) অত্যন্ত প্রভাবশালী ও কার্যকর।
হুজ্জতুল ইসলাম মোহাম্মদ মাদ্দাহ হুসাইনী (রহমতুল্লাহি আলাইহি):
একবার আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে তাঁকে মোতামেদী হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলেন, তাঁর রক্তচাপ বেড়ে গেছে এবং সিজারিয়ান করাতে হবে।
আমি মানত করলাম যে, বাকি‘র গোরস্থানে শায়িত চারজন ইমামের উদ্দেশ্যে চারবার সূরা ইয়াসিন পড়ব, যাতে আমার স্ত্রী প্রাকৃতিকভাবে সন্তান প্রসব করতে পারেন।
সঙ্গে সঙ্গে আমি শামস আবাদি রোডে অবস্থিত এক মসজিদে গেলাম এবং একবার সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত করলাম। বাকি তিনবার পড়ার জন্য মানত রেখে দিলাম, যেন ফলাফল পাওয়ার পর তা পূর্ণ করি।
পরে হাসপাতাল ফিরে জানতে পারি, আমার স্ত্রী প্রাকৃতিকভাবেই সন্তান প্রসব করেছেন, সিজারিয়ান লাগেনি।
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছিল আমার সর্বশেষ সন্তানের জন্মের সময়ও। ডাক্তাররা তখনও বলেছিলেন যে, সিজারিয়ান ছাড়া উপায় নেই।
আমি আবারও আগের সেই মানত করলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ করুণা ও বাকি‘র ইমামদের তাওয়াস্সুলে সমস্যা দূর হল এবং আবারও প্রাকৃতিকভাবে সন্তান প্রসব সম্ভব হলো।
মরহুম শালচিয়ান সাহেব তাঁর মাতৃ-পিতামহের থেকে বর্ণনা করেন:
দৈনন্দিন জীবনের সহজাত সমস্যায় পড়লে তিনি মানত করতেন যে, এই জট খুলে গেলে তিনি একটি সূরা ফাতিহা, সাতবার সূরা ইখলাস এবং ১৪ বার দরুদ শরীফ পাঠ করে বাকি‘র ইমামদের উদ্দেশ্যে উপহার দিবেন।
তিনি বলেন, আমি এটি বহুবার পরীক্ষা করে দেখেছি—এটি সত্যিই কার্যকর।
‘নসীম হায়ে গেরেহ গোশা’ (জট খোলার পবিত্র বাতাস) থেকে সংগৃহীত।
আজ বাকি‘র গোরস্থান ধ্বংসের বার্ষিকীতে, সেখানে বিশ্রামরত ইমামগণ (আলাইহিমুস সালাম) ও বিবি হজরত উম্মুল বানীন (সালামুল্লাহি আলাইহা)-এর দরবারে একখানা দরুদ শরীফ পাঠ করে উপহার দিন।
অনুবাদ: আম্মার সাবিল
আপনার কমেন্ট