হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের হাওজায়ে ইলমিয়ার পরিচালক আয়াতুল্লাহ আলীরেজা আরাফি সোমবার (২৫ ফরওয়ার্দিন) সন্ধ্যায় ইরানের টেলিকম কোম্পানির বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কুম অঞ্চলের নতুন পরিচালক সঙ্গে সাক্ষাতে বলেন: টেলিকম সংস্থাগুলো সাধারণত দেশের অগ্রগতি ও পরিবর্তনে ভিত্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন: কুম প্রদেশ শুধু জাতীয় গুরুত্বই নয়, বরং আন্তর্জাতিক গুরুত্বও বহন করে। আমাদের কুম সম্পর্কে যে জ্ঞান রয়েছে, তাতে দেখা যায় এই শহর কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেশের অগ্রণী শহরগুলোর একটি। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়, যা চিন্তা ও জ্ঞানের জন্য পরিচিত এবং গত এক শতকে ইরান, অঞ্চল এবং বিশ্বের পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।
তিনি বলেন: কুম কেবল ইরানের একটি বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক স্তরেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রভাব মূলত মৌলিক ও চিন্তাগত ধারণা থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ে।
কুমের ইমাম জামা আরও বলেন: দ্বিতীয়ার্ধে কুম হাওজার পুনঃপ্রতিষ্ঠার শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই হাওজার ঐতিহ্য ১২ শতক পুরনো এবং হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে অন্যান্য বৈজ্ঞানিক কেন্দ্রগুলোর তুলনায় তা ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে।
আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন: ইসলামি বিপ্লবের পর হাওজার পুনর্জাগরণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উন্নতির সূচনা করেছে। এই সম্মেলনে সর্বোচ্চ নেতার (রাহবারে মোআজ্যাম) বার্তা এবং শীর্ষ আলেমদের বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে।
হাওজার ফিকহ ও উসুলের খারেজ দরসের শিক্ষক বলেন: এই ধরনের অনুষ্ঠানসমূহ বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের গুরুত্বকে তুলে ধরে, বিশেষ করে যখন দেখা যায় বর্তমানে হাওজার সাথে সম্পৃক্ত ৩০০-রও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সক্রিয় রয়েছে এবং এতে বিপুল সংখ্যক ছাত্র, গবেষক ও শিক্ষক যুক্ত আছেন।
তিনি আরও বলেন: কুম ইসলামি জ্ঞানের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে কেবল ইরানে নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। এই শহর সারা বিশ্বের এক হাজারেরও বেশি বৈজ্ঞানিক ও ধর্মীয় কেন্দ্রের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে।
হাওজার সর্বোচ্চ পরিষদের সদস্য বলেন: যখন পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়, তখন অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও এখন পর্যন্ত অনেক কাজ হয়েছে, তবুও আরও অনেক কিছু করা বাকি রয়েছে।
রাহবারের খেবরেগান পরিষদের সদস্য বলেন: আমি সম্প্রতি জুমার খুতবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বুঝতে পেরেছি যে এই ক্ষেত্রের অন্যান্য সেক্টরের সাথে সংযোগ কতটা জরুরি। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইসলামি বিজ্ঞান ও ইজতেহাদ বিষয়ে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যা ভবিষ্যতে বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।
শেষে আয়াতুল্লাহ আরাফি বলেন: টেলিকম খাতের উচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আধুনিক প্রযুক্তির সাথে কার্যকর সংযুক্তি গড়ে তোলা এবং আমরা আশা করি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন ও কার্যকর পরিবর্তনের সাক্ষী হতে পারব।
আপনার কমেন্ট